ধৃত সাজিকুল শেখ। নিজস্ব চিত্র
রঘুনাথগঞ্জ থানায় বসে হাউ হাউ করে কাঁদছিল ছেলেটি, “আমায় জেলে পাঠাবেন না স্যার, আমি স্কুলে পড়ি!” বছর এগারোর ছেলেটির ব্যাগ তল্লাশি করে মিলেছে কেজি খানেক হেরোইন। বাজার মূল্য প্রায় কোটি টাকা।
বুধবার রাতে, ধুলিয়ানের ডাকবাংলো মোড়ে ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়কে তল্লাশির চালানোর সময়ে হানিফের ব্যাগ হাতড়াতেই বেরিয়ে পড়ে মাদকের প্যাকেট, ধরা পড়েছে তার সঙ্গী সাজিকুল শেখও। পুলিশি জেরায় ছেলেটি স্বীকার করেছে, নদিয়ার পলাশিতে প্যাকেট ভর্তি ওই মাদক পৌঁছে দেওয়ার জন্য পাড়ি দিয়েছিল সে।
নাবালককে ‘ক্যারিয়ার’ বা পাচারকারী হিসেবে ব্যবহারের এই রীতি নতুন নয়। তাতে ধরা পড়ার ঝুঁকি কম। তল্লাশিতে এই ধরনের কিশোররা পুলিশের নজর এড়িয়ে যায় অনেক সময়ে। তবে, এ ক্ষেত্রে গোপন সূত্রে খবর ছিল, কোনও নাবালকের ব্যাগেই পাড়ি দিচ্ছে ওই বিপুল পরিমাণ মাদক।
জেরায় ছেলেটি জানিয়েছে, চার ভাই বোনের সে ছোট। পড়ে পঞ্চম শ্রেণিতে, কালিয়াচকের এক স্কুলে। বাবা সাকিরুল পেশায় রাজমিস্ত্রি, মা সাকিলা বিবি বিড়ি শ্রমিক।
স্কুল পড়ুয়া হয়েও সে কেন এই মাদক পাচার করছে? প্রশ্ন শুনেই ফুঁপিয়ে ওঠে সে। জানায়, প্রতিবেশি এক জন তাকে হাজার পাঁচেক টাকা দেওয়ার লোভ দেখিয়ে ওই মাদক পৌঁছে দিতে বলে। প্রথমে ভয় পেলেও টাকার লোভে সে আর পিছিয়ে আসতে পারেনি। রাতের বাসেই রওনা দিয়েছিল নদিয়ায়।
সমশেরগঞ্জ থানার ওসি অমিত ভকত জানান, এত কম বয়সে টাকার লোভ দেখিয়েই মাদকের ক্যারিয়ারের কাজে লাগানো হয়। আপাতত তার ঠাঁই হয়েছে সরকারি হোমে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy