Advertisement
২৫ এপ্রিল ২০২৪
মিড-ডে মিল নিয়ে সরকারি ফরমান

গ্যাসেই রান্না হবে পড়ুয়াদের

ভতুর্কির বারোটি সিলিন্ডারেই ছেলেপুলেদের জন্য রাঁধতে হবে মিডডে মিল। উনুনের আঁচে মিডডে মিলের রান্নার দিন শেষ। কেন্দ্রীয় সরকারের নির্দেশ মেনে স্কুলের মিডডে মিল রান্নাতেও রান্নার গ্যাস ব্যবহারের সিদ্ধান্ত নিয়েছিল রাজ্য। তবে ভর্তুকির সিলিন্ডার ওই বারোটি।

চলছে রান্না। —নিজস্ব চিত্র।

চলছে রান্না। —নিজস্ব চিত্র।

নিজস্ব প্রতিবেদন
রঘুনাথগঞ্জ ও বেলডাঙা শেষ আপডেট: ১২ মার্চ ২০১৭ ০১:৫৪
Share: Save:

ভতুর্কির বারোটি সিলিন্ডারেই ছেলেপুলেদের জন্য রাঁধতে হবে মিডডে মিল।

উনুনের আঁচে মিডডে মিলের রান্নার দিন শেষ। কেন্দ্রীয় সরকারের নির্দেশ মেনে স্কুলের মিডডে মিল রান্নাতেও রান্নার গ্যাস ব্যবহারের সিদ্ধান্ত নিয়েছিল রাজ্য। তবে ভর্তুকির সিলিন্ডার ওই বারোটি।

স্কুলগুলিতে মাথায় হাত পড়েছে তাতেই। সাকুল্যে বারোটি সিলিন্ডারে রান্না হবে কী করে?

এ যাবত অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত বরাদ্দ ছিল মিডডে মিল। এ বার পাত পেড়ে খাওয়ার কথা নবম ও দশম শ্রেণির ছাত্রছাত্রীদেরও। ‘‘কিন্তু ভর্তুকির বারোটি সিলিন্ডারে সে রান্না হবে কী করে’’, প্রশ্ন করছেন, সাগরদিঘির কাবিলপুর হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক মজিবুর রহমান। তিনি বলেন, ‘‘গ্রামের স্কুলে এখনও জ্বালানির অভাব নেই। কিন্তু গ্যাসে রাঁধতে হলে, বারো সিলিন্ডারে কী করে হবে বুঝতে পারছি না।’’

তাঁর হিসেব বলছে, বড় স্কুলে অন্তত খান কুড়ি সিলিন্ডার লাগবে।

কিন্তু ২৪০০ ছাত্র ছাত্রীর জন্য গ্যাসে রান্নায় প্রতি মাসে ১৬ থেকে ২০টি সিলিন্ডার লাগবে। অর্থাৎ বছরে ২০০টিরও বেশি । ভর্তুকি পাব ১২টা সিলিন্ডারে। বাড়তি দাম দিয়ে গ্যাস কেনা অসম্ভব হবে।”

জঙ্গিপুর হাইস্কুলে ছাত্র সংখ্যা প্রায় ১৬০০। প্রধান শিক্ষক ফারহাদ আলি বলেন, “এত দিন সাতটি উনুনে রান্না হত। জুলাই মাস থেকে চালু করেছি গ্যাসে রান্না। এখনও পর্যন্ত বাজার থেকেই কিনে ম্যানেজ করে চালাচ্ছি। জানি না কত দিন চালাতে পারব।’’

জোতকমল হাইস্কুল ১২টি সিলিন্ডারে ভর্তুকি পায় বছরে। ছাত্রছাত্রী ২৯০০। প্রধান শিক্ষক শিবশঙ্কর সাহা বলেন, “বাড়িতে পাঁচটি লোকের রান্নাতেই মাস যায় না একটা সিলিন্ডারে। স্কুলে চলবে কী করে?’’

জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শক (মাধ্যমিক) পূরবী দে বিশ্বাস বলেন, ‘‘স্কুলগুলিকে যাতে গ্যাসে রন্না করে সে আবেদন করা হয়েছে। কিন্তু ভর্তুকির সিলিন্ডারের তো বাঁধা।বিষয়টা বিডিও’রা দেখবেন’’

বেলডাঙা ১ ব্লকের বিডিও শুভ্রাংশু মণ্ডল বলছেন, ‘‘জ্বালানির ধোঁয়া এড়িয়ে স্বাস্থ্যকর পরিবেশে রান্না-বান্না যাতে হয় সে জন্যই গ্যাসে রান্নার কথা বলা হচ্ছে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Cooking gas
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE