Advertisement
E-Paper

পরীক্ষায় পাহারা, জবাব বোমায়

তাঁদের ‘অপরাধ’ পরীক্ষা হলে বড্ড কড়া মনোভাব দেখিয়ে ফেলেছেন। আর তাই, শেষ পরীক্ষার পরে, একটা চেনা ‘শাস্তি’ও প্রতি বছর বরাদ্দ রাখে ছেলেরা— স্কুলে ভাঙচুর।

নিজস্ব প্রতিবেদন

শেষ আপডেট: ৩০ মার্চ ২০১৭ ০১:৫৩
ভাঙচুর: বড় আন্দুলিয়া স্কুলে।

ভাঙচুর: বড় আন্দুলিয়া স্কুলে।

তাঁদের ‘অপরাধ’ পরীক্ষা হলে বড্ড কড়া মনোভাব দেখিয়ে ফেলেছেন। আর তাই, শেষ পরীক্ষার পরে, একটা চেনা ‘শাস্তি’ও প্রতি বছর বরাদ্দ রাখে ছেলেরা— স্কুলে ভাঙচুর।

বছর দুয়েক আগে, শিক্ষা দফতরের কর্তারা তাই কড়া বার্তাও দিয়েছিলেন, পরীক্ষাকেন্দ্রে এমন ‘বেয়াদপি’ বরদাস্ত করা হবে না। জরিমানা করা হবে সংশ্লিষ্ট স্কুল কর্তৃপক্ষকে। তবে, সে নিয়মে খাতায় কলমের বাইরে বিশেষ এগোয়নি। যার ফল ভুগল এ বারও, নদিয়া এবং মুর্শিদাবাদের বেশ কিছু স্কুল।

কড়া গার্ড দেওয়ার ‘শাস্তি’স্বরূপ কোথাও ভেঙে দেওয়া হল স্কুলের জানলার কাচ, কোথাও বা গুঁড়িয়ে দেওয়া হল পাখা।

বুধবার, পরীক্ষা ভাঙতে সেই অসন্তোষ চেহারা নিল ভাঙচুর এমনকী হুমকি-শাসানির। এমনকী স্কুল চত্বরেই ফাটানো হল চকোলেট বোমাও। যা সামাল দিতে নদিয়ার চাপড়ায় তলব করা পুলিশ। তবে, ততক্ষমে পরীক্ষার্তীরা উধাও।

ওই স্কুলের শিক্ষকেরা জানাচ্ছেন, পরীক্ষার্থীদের একাংশ তাঁদের মারধর করবেন বলে বাইরে অপেক্ষাতেও ছিল। পুলিশ এসে পরিস্থিতি সামাল না দিলে সমস্যা পাকত।

বড় আন্দুলিয়া হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক মধুসুদন পাল বলেন, “পরীক্ষার সময় টুকতে বাধা দিয়েছিলেন আমাদের স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষিকারা। তারই জের চলছে। স্কুলে ওরা বোমা ফাটাল, বাইরে দাঁড়িয়ে ছিল মারবে বলে, ভাবতে পারেন!’’

মুর্শিদাবাদের বেলডাঙার গোবিন্দ সুন্দরী বিদ্যাপীঠে আবার নিছক চকোলেট বোমা নয়, অভিযোগ উঠল বোমা ফাটানোর। ছড়ায় আতঙ্ক। ছুটে আসে পুলিশ। স্কুল সূত্রে জানা গিয়েছে স্কুলের পুরানো ভবনের সিড়ি নিচে ওই বোমা ফাটায় স্কুলের দেওয়ার ক্ষতি হলেও কেউ আহত হননি। বেলডাঙার ওই স্কুলে, ৮১৪ জন পরীক্ষা দিয়েছে এ বার। সিট পড়েছিল এলাকার ছ’টি স্কুলের। স্কুলের বেঞ্চ কম পড়া। তাই আশপাশের স্কুল থেকে ভাড়া করে আনা হয়েছিল বেঞ্চ। এ দিন পরীক্ষা শেষে সেই সব বেঞ্চের অধিকাংশই আর অক্ষত নেই বলে স্কুল সূত্রে জানা গিয়েছে। ভেহে তছনছ করা হয়েছে স্কুলের যাবতীয় পাখাও।

নদিয়ার ঘটনায়, অভিযোগের আঙুল উঠেছে যাদের দিকে সেই বেতবেড়িয়া হাইল্কুলের প্রধান শিক্ষক মুজিবর রহমান অবশ্য তাঁর ছাত্রদের পাশেই রয়েছেন, বলছেন, “আমাদের ছেলেরা এটা করে নি। করেছে অন্য স্কুলের ছেলেরা। তবে, যারাই এটা করে থাকুক অন্যায় করেছে।’’

Bomb School Students
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy