গোয়া নৈশক্লাবে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় কাউকে তো দায় নিতেই হবে। এমনটাই মন্তব্য করল বম্বে হাই কোর্ট। গোয়ার ওই ঘটনায় আগে থেকেই একটি মামলা চলছে আদালতে। ওই মামলাটিকে জনস্বার্থ মামলায় বদলে দিয়েছে হাই কোর্টের গোয়া বেঞ্চ।
গোয়ার বাগা সমুদ্রসৈকতের কাছে আরপোরায় সম্প্রতি নৈশক্লাব ‘বার্চ’-এ অগ্নিকাণ্ডে ২৫ জনের মৃত্যু হয়। গত ৬ ডিসেম্বর মধ্যরাতে ঘটে এই অগ্নিকাণ্ড। অঘটনের কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই ভারত ছেড়ে পালিয়ে যান নৈশক্লাবের মালিক দুই ভাই সৌরভ এবং গৌরব লুথরা। পরে তাইল্যান্ডে ধরা পড়েন তাঁরা। দুই ভাইকে ভারতে প্রত্যর্পণের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। ওই ঘটনায় ইতিমধ্যে বম্বে হাই কোর্টে একটি মামলা রুজু হয়েছে।
সোমবার হাই কোর্টের গোয়া বেঞ্চের বিচারপতি সারঙ কোতওয়াল এবং বিচারপতি আশিস চ্যবনের পর্যবেক্ষণ, ওই ক্লাবের বিরুদ্ধে স্বতঃপ্রণোদিত পদক্ষেপ করতে ব্যর্থ হয়েছে স্থানীয় পঞ্চায়েত। অভিযোগ পাওয়ার পরেও কোনও পদক্ষেপ করেনি স্থানীয় প্রশাসন। এ অবস্থায় হাই কোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ প্রশ্ন তুলেছে গোয়ার স্থানীয় প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে। কেন ওই নৈশক্লাব চালানোর অনুমতি দেওয়া হয়েছিল, সে বিষয়ে গোয়া সরকারকে বিস্তারিত রিপোর্ট জমা দিতে বলেছে আদালত। আগামী ৮ জানুয়ারি এই মামলার পরবর্তী শুনানি রয়েছে।
আরও পড়ুন:
গত ৬ ডিসেম্বর রাত সাড়ে ১২টার কিছু পরে আগুন লেগেছিল গোয়ার ওই নৈশক্লাবে। দমকলবাহিনী যখন আগুন নেবানোর চেষ্টা করছিল, ঠিক তখন ফুকেতের বিমানে টিকিট কাটেন লুথরা ভাই। পরে সুযোগ বুঝে সকলের অলক্ষ বিমান ধরে ফুকেতে চলে যান তাঁরা।
বস্তুত, গোয়ার ওই নৈশক্লাবে অগ্নিকাণ্ডের পর প্রশাসনের তৎপরতা বৃদ্ধি পেয়েছে গোয়ায়। নিরাপত্তা সংক্রান্ত নিয়ম ভাঙার অভিযোগে ঝাঁপ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে গোয়ার দুই জনপ্রিয় নৈশক্লাবের। একটি উত্তর গোয়ার ভাগাটোর সমুদ্রসৈকতে আরব সাগরের তীরে অবস্থিত ‘ক্যাফে সিওটু গোয়া’। অন্যটি ভাগাটোরেরই ‘গোয়া ক্লাব’ নামে আর এক জনপ্রিয় নৈশক্লাব। নিয়মের অভিযোগে বন্ধ করে দেওয়া হয় ওই দু’টি ক্লাব।