মাসে সংখ্যাটা ছিল ২ বা ৩। সেই চেহারা বদলে গেল রাতারাতি। কুড়ি দিনে ৫২ জন প্রসূতির প্রাতিষ্ঠানিক প্রসবে রীতিমতো চমক সৃষ্টি করল শমসেরগঞ্জের প্রত্যন্ত পুটিমারি প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্র। গত এক বছরেও যা সম্ভব হয়নি সেখানে। ব্লক স্বাস্থ্য দফতরের হিসেবে, ঝাড়খণ্ড লাগোয়া দোগাছি নওপাড়া ও ভাসাই পাইকর পঞ্চায়েতে শমসেরগঞ্জের মধ্যে ৮০ থেকে ৮৫ শতাংশ প্রসব হত বাড়িতে।
ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক তারিফ হোসেন বলেন, ‘‘দীর্ঘ চল্লিশ বছর বন্ধ হয়ে পড়ে থাকা পুটিমারি প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রকে চালু করা হয় বছর খানেক আগে। ২০টি শয্যাও চালু হয়। মাস পাঁচেক আগে চালু হয় প্রসব ব্যবস্থাও। চিকিৎসক, নার্সও আসেন। কিন্তু মাসে ৩-৪টির বেশি প্রসূতিকে প্রসবের জন্য হাসপাতালমুখী করা যায়নি। একটি কারণ ভরসা এবং কিছু সংস্কার কাটানোর সমস্যা। দ্বিতীয় কারণ ঝাড়খণ্ডের গা ঘেঁষা প্রত্যন্ত অদ্বৈতনগর, নওপাড়া, সাখারঘাট, ইসলামপুরের মতো গ্রামগুলি থেকে যাতায়াতের সমস্যা।’’
তিনি বলেন, ‘‘৩ জুন এই সব সমস্যা নিয়ে একাধিক বৈঠক করা হয়। আসেন মহিলা চিকিৎসক। অ্যাম্বুল্যান্স পরিবহণকে সহজ করা হয়। প্রচার হয়। পরিবারের এক অভিজ্ঞ মহিলাকে সঙ্গী রাখার ব্যবস্থা হয়। তাতেই ৬ থেকে ২৫ জুন ২০ দিনে ৫২ জন প্রসূতি পুটিমারি স্বাস্থ্যকেন্দ্রে এসেছেন। সুষ্ঠু প্রসবের পরে তাঁরা ফিরে গেছেন বাড়িতে। এই ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে প্রচারে জোর দিতে হবে।’’
ভাসাই পাইকরের প্রধান আনিকুল ইসলাম বলছেন, ‘‘প্রসূতির প্রসব বাড়িতে নয়, এই প্রচারে কাজ হয়েছে।’’
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)