প্রতীকী ছবি।
এ বছর জানুয়ারির ৯ তারিখ সকালে মা ফরিদার সঙ্গে শেষবারের মতো কথা বলেছিলেন। তার পর বিদেশ থেকে ছেলের ফোন আসেনি। শেষ পর্যন্ত জেলা প্রশাসন মারফত খবর এল সৌদি আরবের জেড্ডায় কর্মরত অবস্থায় দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে ছেলের। মঙ্গলবার খবর পাওয়ার পর থেকে বহরমপুরের রাঙামাটি চাঁদপাড়ায় মৃত ওই যুবকের বাড়িতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। বুধবার মৃত যুবকের বাবা ব্লক প্রশাসনের মাধ্যমে সৌদি প্রশাসনের কাছ থেকে ছেলের মৃতদেহ দেশে ফেরানোর আবেদন জানিয়েছেন। প্রশাসন সূত্রের খবর, মৃতের নাম মিরাজুল শেখ (২৫)।
সৌদি আরবের ভারতীয় দূতবাসের চিঠি মারফত পরিবার জানতে পেরেছে মিরাজুল ১০ জানুয়ারি কর্মরত অবস্থায় দূর্ঘটনায় মারা গিয়েছেন। সেখানকার একটি হাসপাতালে তাঁর মৃতদেহ রাখা আছে। নিকট আত্মীয় বা অনুমতিপত্র সহ কাউকে না পাওয়ায় মৃতদেহ দিতে পারেনি।
মুর্শিদাবাদের জেলাশাসক শরদ কুমার দ্বিবেদী বলেন, ‘‘সৌদি আরবেব ভারতীয় দূতাবাসের চিঠি পাওয়ার পরে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করেছি।’’
সূত্রের খবর, গত ৬ মে ভারতীয় দূতাবাস থেকে মুর্শিদাবাদের জেলাশাসককে চিঠি লিখে মিরাজুল শেখের মৃত্যুর খবর জানানোর পাশাপাশি মৃতদের পাঠানোর জন্য বা সেখানে কবরস্থ করার অনুমতি চাওয়ার কথা বলা হয়। চিঠি হাতে পাওয়ার পরে জেলা প্রশাসন মিরাজুলের পরিবারকে খবর দেওয়ার পাশাপাশি দেহ ফেরত আনার জন্য মৃতের বাবার অনুমতিপত্র সংগ্রহ করে সৌদি আরবের ভারতীয় দূতাবাসে পাঠিয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy