এক পার্শ্ব শিক্ষককে মারধরের অভিযোগ উঠল জনাকয়েক তৃণমূল কর্মীর বিরুদ্ধে। শনিবার রাতে ফরাক্কার আথোয়া গ্রামের ঘটনা। জখম সামসুল হক নামে ওই পার্শ্ব শিক্ষক ফরাক্কার বেনিয়াগ্রাম স্বাস্থ্য কেন্দ্রে চিকিৎসাধীন। এলাকার অগ্রগণ্য কংগ্রেস কর্মী হিসেবে ওই শিক্ষকের পরিচিতি রয়েছে।
ওই এলাকায় বরাবরই কংগ্রেস শক্তিশালী। এ বার বাম-কংগ্রেস জোট হওয়ায় কংগ্রেস প্রার্থী ওই এলাকা থেকে আরও বেশি ‘লিড’ বলে ধারণা এলাকার লোকজনের। সামসুলের অভিযোগ, তৃণমূলের লোকজন ভোটের আগে অনেক চেষ্টা করেও তাঁকে দলবদল করাতে পারেনি। ফলে তাঁর উপর তৃণমূলের লোকজনের ভোটের আগে থেকেই ক্ষোভ ছিল। সামসুল বলেন, ‘‘নির্বাচন শেষ হওয়ার পর থেকেই তৃণমূল লোকজন আমাকে দেখে নেওয়ার হুমকি দিচ্ছিল।’’
শনিবার রাত সাড়ে ৯টা নাগাদ গ্রামেরই তিন বন্ধুর সঙ্গে গল্প করতে করতে সামসুল বাড়ি ফিরছিলেন। অভিযোগ, হঠাৎই জনাকয়েক তৃণমূল কর্মী সামসুলের পথ আটকায়। তাঁকে রাস্তার ধারে টেনে নিয়ে গিয়ে লাঠি, রড দিয়ে মারতে শুরু করে ওই দুষ্কৃতীরা। বন্ধুরা বাধা দিতে গেলে তাঁরাও প্রহৃত হন। মারধর করে মিনিট দশেকের মধ্যে ওই দুষ্কৃতীরা পালিয়ে যায়। জখম ওই ব্যক্তিদের আর্তনাদ শুনে আশপাশের লোকজন ছুটে আসেন। সামসুলের বাড়ির লোকজনও ঘটনাস্থলে ছুটে যান। তাঁকে ফরাক্কার বেনিয়াগ্রাম স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ভর্তি করানো হয়।
ফরাক্কার ব্লক কংগ্রেস সভাপতি অমল মিশ্র বলেন, “ওই গ্রামে বরাবরই কংগ্রেস ভাল ফল করে। বহু চেষ্টা করেও তৃণমূল সুবিধা করতে পারে না। এ বারও ওই গ্রামে ওদের ভরাডুবি হবে। সামসুল ওই এলাকায় আমাদের সক্রিয় কর্মী। সেই আক্রোশেই তৃণমূলের স্থানীয় কর্মীরা তাঁকে মারধর করেছে।’’ অভিযোগ অস্বীকার করে ব্লক তৃণমূলের সভাপতি বদরুদ্দোজা অবশ্য বলেন, “সামসুলকে কেউ মারধর করেনি। বরং লোকজন জুটিয়ে সামসুলই আমাদের কর্মীদের মেরেছে।’’ ওই ঘটনায় কংগ্রেস ও তৃণমূল পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করেছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy