দশম শ্রেণীর এক ছাত্রীকে শ্লীলতাহানি ও তার বাবাকে মারধরের অভিযোগে এক গৃহ-শিক্ষক ও তার ভাইকে গ্রেফতার করল পুলিশ। ধৃতদের নাম অমিত দেবনাথ এবং প্রভাত দেবনাথ। মঙ্গলবার রাতে গাংনাপুর থানার মাঝেরগ্রাম-অতুলসারি গ্রামের বাড়ি থেকেই ওই দু’জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। বুধবার তাদের কৃষ্ণনগর আদালতে তোলা হলে বিচারক ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেন।
ওই ছাত্রীর বাবা সুজিত অধিকারী বলেন, “ওই শিক্ষকের কাছে আমিও টিউশন নিয়েছি। তাই তাঁকে শ্রদ্ধা করাটাই স্বাভাবিক। কিন্তু, তিনি তাঁর মর্যাদা রাখেননি। মেয়ে তাঁর কাছে পড়তে যেত। মেয়েকে বিভিন্ন কুপ্রস্তাব দিয়েছে। ফলে মেয়ে পড়তে যাওয়া বন্ধ করে দিয়েছিল। মেয়ের বানানো ছবিও সোশ্যাল মিডিয়ায় দিয়েছেন ওই শিক্ষক। তার প্রতিবাদ করতে গেলে আমাকে মারধর করা হয়।’’
ধৃত ওই গৃহশিক্ষক সাফ জানান, তাঁর বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ করা হচ্ছে। রানাঘাটের এসডিপিও ইন্দ্রজিৎ বসু বলেন, “তদন্ত শুরু হয়েছে।”
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, রানাঘাট ২ ব্লকের মাঝেরগ্রাম গ্রাম পঞ্চায়েতের অতুলসারি গ্রামে ওই ছাত্রীর বাড়ি। বাড়ি থেকে খানিকটা দূরে গৃহশিক্ষক অমিতবাবু থাকেন। কয়েক বছর ধরে ওই বছর পনেরোর ওই ছাত্রী অমিতবাবুর কাছে প্রাইভেট পড়ত। কিছুদিন আগে ওই ছাত্রীর তার বাড়ির লোকজনকে জানায়, গৃহশিক্ষক তার সঙ্গে অস্বাভাবিক আচরণ করছেন। এরপর থেকে ওই ছাত্রীটি ওই শিক্ষকের কাছে পড়তে যাওয়া বন্ধ করে দেয়। মঙ্গলবার ছাত্রীর বাবা জানতে পারেন, ওই শিক্ষক তাঁর মেয়ের অশ্লীল ছবি পোস্ট করেছেন। এটা জানার পর তিনি ওই গৃহশিক্ষকের বাড়িতে যান। বিষয়টি নিয়ে তাঁর সঙ্গে ওই শিক্ষকের তর্কাতর্কি শুরু হয়। সেই সময় বাড়িতে ছিলেন ওই শিক্ষকের ভাই প্রভাত দেবনাথ। অভিযোগ, দু’জনে মিলে আচমকা ওই কিশোরীর বাবাকে মারধর শুরু করে। চিৎকার চেঁচামেচি শুনে আশপাশের লোকজন ছুটে আসেন। পাড়ার লোকজন ফোন করে বিষয়টি পুলিশকে জানান। পুলিশ এসে গৃহশিক্ষক ও তার ভাইকে থানায় নিয়ে আসে। পরে ছাত্রীর বাবার দায়ের করা অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ ওই দু’জনকে গ্রেফতার করে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy