Advertisement
E-Paper

বাইকের শব্দ চেনে হনুমান!

ওরা কাজল স্যরের পোষ্য। একপাল হনুমান! চাকদহ শহরের রবীন্দ্রনগর ছোট কাজিপাড়া এলাকার বাসিন্দা কাজল চক্রবর্তী। যোগা এবং ক্যারাটের শিক্ষক। তাঁর আরও এক পরিচয়— তিনি পশুপ্রেমী।

সৌমিত্র সিকদার

শেষ আপডেট: ১৬ জুলাই ২০১৮ ০২:১৭
নিজস্ব চিত্র

নিজস্ব চিত্র

শিস শুনলেই হাজির হয়ে যায় ওরা। বাকিদের দেখে দাঁত খিঁচুনি দিলেও কাজল স্যরকে দেখলেই লম্ফঝম্প একেবারে ঠান্ডা।

ছুটে আসে তাঁর মোটরবাইকের শব্দে। কয়েকজন বাইকের উপর উঠে দাঁড়ায়। ক’জন গোল করে বাইক ঘিরে ধরে। ওরা জানে, খাবার এসেছে।

ওরা কাজল স্যরের পোষ্য। একপাল হনুমান! চাকদহ শহরের রবীন্দ্রনগর ছোট কাজিপাড়া এলাকার বাসিন্দা কাজল চক্রবর্তী। যোগা এবং ক্যারাটের শিক্ষক। তাঁর আরও এক পরিচয়— তিনি পশুপ্রেমী।

মাঝেমধ্যেই দল বেঁধে হানা দিত শাখামৃগেরা। এমনই এক দিনে বিচিত্র অভিজ্ঞতা হয় কাজলবাবুর— “ক্লাস শেষে বাড়ি ফিরছি। দেখলাম, পাঁচিলের উপর দু’টো হনুমান। বাচ্চা হনুমানটি তার মাকে বিরক্ত করছে। ওদের জন্য ক’টা পাকা কলা আর বিস্কুট এনে দিলাম। ওর মা বাচ্চাটাকে সেটা খাইয়ে দিতেই বাচাটা চুপ করে মায়ের কোলে গিয়ে বসে পড়ল!”

সেদিন থেকে ওরা চিনে রেখেছে কাজলবাবুকে। স্থানীয় বাসিন্দা রাজেশ ভট্টাচার্যের কথায়, “স্যর একদিন ওদের ভালবেসে খেতে দিয়েছিল। ওরা সেটা মনে রেখেছে।” বছরতিনেক ধরে এলাকার মানুষ একই দৃশ্য দেখে আসছেন। স্থানীয় গৃহবধু রুমা সরকার বলেন, “স্যরের সঙ্গে ওরা কী সুন্দর রয়েছে! অথচ, আমাদের দেখলেই দাঁত খিঁচুনি দেয়।” পশুপ্রেমী চিন্ময় বিশ্বাস বলেন, “কাজলবাবু যা করছেন, সেটা মহৎ কাজ। চারদিকে গাছপালা কমে গিয়েছে। হনুমানদের বাসস্থান ও খাবারের সমস্যা হচ্ছে। খাবারের খোঁজে লোকালয়ে আসছে। অনেকেই সেটাকে ভাল ভাবে নেন না। কাজলবাবু অবশ্যই ব্যতিক্রম।

Monkey Food Pet
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy