Advertisement
E-Paper

চোরাই গয়না কিনে ধৃত তিন

ব্রজগোপাল বসাক, বিশ্বেশ্বর  কর্মকার এবং দীপক হাজরা নামে ওই তিন কারবারিকে রানাঘাট আদালতে হাজির করানো হলে বিচারক তাদের চার দিনের জন্য পুলিশ হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছেন।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৭ অক্টোবর ২০১৭ ০১:১২

সস্তায় চোরাই সোনার গয়না কিনে রাতারাতি তা গলিয়ে নতুন ধাঁচের চুড়ি-বালা তৈরি করে ফেলত তারা। তার পর চড়া দামে তা বিক্রি করত বাজারে। কারবার মন্দ চলছিল না। কিন্তু বেমক্কা ধরা পড়ে গেল সেই চোরাই গয়না কিনতে গিয়েই। আর তার জেরেই গোটা চক্রটাই ধরা পড়ে গেল পুলিশের হাতে। ওই কারবারের সঙ্গে জড়িত থাকার সন্দেহে তিন স্বর্ণ ব্যবসায়ী এবং দু’জন গয়না-চোরকে গ্রেফতারও করেছে পুলিশ।

ব্রজগোপাল বসাক, বিশ্বেশ্বর কর্মকার এবং দীপক হাজরা নামে ওই তিন কারবারিকে রানাঘাট আদালতে হাজির করানো হলে বিচারক তাদের চার দিনের জন্য পুলিশ হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছেন। জেলা পুলিশ সুপার শিসরাম ঝাঝারিয়া বলেন, “ধৃতদের কাছ থেকে আরও তথ্য পাওয়া যেতে পারে। আরও কিছু গয়না উদ্ধার করা যেতে পারে। সে জন্য তাদের পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়েছে।” পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে,গত ২৬ সেপ্টেম্বর রাতে রানাঘাট থানার বেগোপারা পোস্ট অফিসের কাছে শ্যামাপ্রসাদ পাল নামে এক স্বর্ণ ব্যবসায়ীকে মারধর করে তার কাছ থেকে সোনা ও রুপোর গহনা, নগদ টাকা নিয়ে চম্পট দিয়েছিল দুষ্কৃতীরা। ৬ জুলাই রাতেও পূর্ণনগরের হরেন্দ্রনাথ বিশ্বাস নামে এক ব্যাবসায়ীর পায়ে গুলি করে গয়না নিয়ে পালিয়ে ছিল জনা কয়েক দুষ্কৃতী। তা নিয়ে বেশ অস্বস্তিতে ছিল পুলিশ। মঙ্গলবার দুপুরে তন্ময় ঘোষ নামে এক যুবকের কাছ থেকে ৪৫ লক্ষ টাকা ছিনতাইয়ের ঘটনায় অনুপ হেলা, বিশ্বেশ্বর মণ্ডল এবং সুজিত পত্তনদারকে পুলিশ গ্রেফতার করে। বঙ্গীয় স্বর্ণ ব্যাবসায়ী সমিতির সম্পাদক দীপঙ্কর সরকার বলেছেন, “পুলিশ তদন্তে যা যা পেয়েছে তার ভিত্তিতেই গ্রেফতার করা হয়েছে।” জেলার স্বর্ণ ব্যসায়ীদের দাবি, তাঁদের উপর যে আক্রমণ হচ্ছিল পুলিশ তার সুরাহা করায় তাঁরা কৃতজ্ঞ।

arrest jewellery
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy