Advertisement
০৪ মে ২০২৪
বড়ঞায় জখম তিন

স্কুলভোট নিয়ে বোমা-গুলি

স্কুল পরিচালন সমিতির নির্বাচনের জন্য কংগ্রেস সমর্থিত প্রার্থীদের মনোনয়ন দাখিল করা রুখতে বোমা-গুলি নিয়ে হামলা চালানোর অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। জখম অন্তত তিন জন। পুলিশ অবশ্য বোমা-গুলির কথা মানতে চায়নি।

ঠুঁটো পুলিশ। বোমা (লাল রঙে চিহ্নিত) হাতে ঘুরলেও নিরুত্তর পুলিশ। —নিজস্ব চিত্র

ঠুঁটো পুলিশ। বোমা (লাল রঙে চিহ্নিত) হাতে ঘুরলেও নিরুত্তর পুলিশ। —নিজস্ব চিত্র

নিজস্ব সংবাদদাতা
বড়ঞা শেষ আপডেট: ১৫ সেপ্টেম্বর ২০১৬ ০০:৫০
Share: Save:

স্কুল পরিচালন সমিতির নির্বাচনের জন্য কংগ্রেস সমর্থিত প্রার্থীদের মনোনয়ন দাখিল করা রুখতে বোমা-গুলি নিয়ে হামলা চালানোর অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। জখম অন্তত তিন জন। পুলিশ অবশ্য বোমা-গুলির কথা মানতে চায়নি।

যত সময় যাচ্ছে, তৃণমূলের উত্থানে মুর্শিদাবাদে কোণঠাসা হচ্ছে কংগ্রেস। বুধবার সকালে বড়ঞার নন্দীবাণেশ্বর করুণাময় জুনিয়র হাইস্কুলের ঘটনায় ভারসাম্যের সেই পরিবর্তনই ফের সামনে চলে এসেছে। যদিও হামলার দায় নিতে চায়নি তৃণমূল। পুলিশের কাছেও কোনও অভিযোগ হয়নি।

স্থানীয় সূত্রের খবর, এ দিন সকাল থেকেই তৃণমূলের নেতাকর্মীরা স্কুল চত্বর ঘিরে ছিলেন। বেলা সাড়ে ১১টা নাগাদ বড়ঞার কংগ্রেস বিধায়ক প্রতিমা রজক, কান্দি ব্লক কংগ্রেস সভাপতি ইদ্রিশ আলি, পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি সুকান্ত ত্রিবেদী ও জেলা কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক পার্থপ্রতিম সরকারের নেতৃত্বে দলের সমর্থকেরা মনোনয়ন দাখিল করতে যাচ্ছিলেন। তখনই তৃণমূল কর্মীরা লাঠি, বোমা, আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে তাদের তাড়া করে এবং বেধড়ক মারধর করে বলে অভিযোগ।

কংগ্রেসের অভিযোগ, পার্থপ্রতিম ও ইদ্রিশ আলিকে বাঁশ ও বাটাম দিয়ে পেটানো হয়। বিধায়ককে তাড়া করা হয়েছিল। তবে দেহরক্ষী থাকায় তিনি মার খাননি। কংগ্রেস কর্মীরা বাধা দিতে গেলে পুলিশের সামনেই তিনটি গুলি ছোড়ে তৃণমূলের লোকেরা। তিনটি বোমাও ফাটায়। ইদ্রিশ আলি ছাড়াও কংগ্রেস কর্মী বুদ্ধদেব সাহা ও আজিমুল শেখ আপাতত কান্দি মহকুমা হাসপাতালে চিকিৎসা চলছে।

ঘটনাস্থলে হাজির ছিলেন বড়ঞার বিডিও রুডেন শেরিং লামা। অশান্তির বিষয়ে তিনি বলেন, “সব পুলিশের বিষয়। আমি কিছু জানি না।” ঘটনার পরে আর মনোনয়ন দাখিল করতে যাননি কংগ্রেসের লোকেরা। কান্দি মহকুমাশাসকের কাছে তারা এ দিনের মনোনয়নপত্র দাখিল বাতিল করার আর্জি জানিয়েছে। তবে বড়ঞা ব্লক তৃণমূল সভাপতি গোলাম মুর্শিদের পাল্টা বক্তব্য, “কংগ্রেসের লোকেরাই বোমা-বন্দুক নিয়ে হঠাৎ আমাদের কর্মীদের উপরে চড়াও হয়েছিল। আমরা প্রতিরোধ করেছি মাত্র। মা-মাটি-মানুষের দলে বোমা-গুলির কারবার চলে না।”

পুলিশের কাছে অভিযোগ করল না কেন কংগ্রেস? বিধায়কের বক্তব্য, “গোটা হামলাই পুলিশ দাঁড়িয়ে থেকে করিয়েছে। সেখানে আর পুলিশকে অভিযোগ জানিয়ে কী লাভ?’’ জেলা পুলিশের কর্তারা এ ব্যাপারে মন্তব্য করতে চাননি।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

TMC attack
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE