Advertisement
২৩ মে ২০২৪
school

স্কুলের জমিতে চলছে দলীয় কার্যালয়ের নির্মাণ! শমসেরগঞ্জে অভিযুক্ত তৃণমূল

গাজিনগর মালঞ্চা অঞ্চলের প্ৰধান উত্তম সাহার তত্ত্বাবধানে স্কুলের পাশে তৃণমূলের কার্যালয় গড়ে উঠছে বলে অভিযোগ।

মালঞ্চা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাশে এই নির্মাণকাজ ঘিরে বিতর্ক শুরু হয়েছে।

মালঞ্চা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাশে এই নির্মাণকাজ ঘিরে বিতর্ক শুরু হয়েছে। —নিজস্ব চিত্র।

শেষ আপডেট: ২৪ নভেম্বর ২০২১ ১৮:৫৪
Share: Save:

প্রাথমিক স্কুলের জায়গা দখল করে দলীয় কার্যালয়ের নির্মাণকাজ চলছে। মুর্শিদাবাদের শমসেরগঞ্জে স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্বের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ করলেন ওই স্কুলের প্রধান শিক্ষক শৈলেনচন্দ্র মণ্ডল। গোটা ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করে জেলা প্রাথমিক বিদ্যালয় সংসদ চেয়ারম্যান, ব্লক সমষ্টি উন্নয়ন আধিকারিক, অবর বিদ্যালয় পরিদর্শক এবং শমসেরগঞ্জ থানার দায়িত্বপ্রাপ্ত আধিকারিককে লিখিত অভিযোগ করেছেন তিনি। যদিও বিষয়টি তাঁদের জানা নেই বলে দাবি স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্বের একাংশের।

শমসেরগঞ্জ থানার গাজিনগর মালঞ্চা গ্রাম পঞ্চায়েতের ৪ নম্বর মালঞ্চা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের জমির অংশ দখল করে তৃণমূল নির্মাণকাজ শুরু করেছে বলে অভিযোগ। যদিও অভিযোগ ওঠার পর মঙ্গলবার থেকে তা সাময়িক ভাবে স্থগিত রাখা হয়েছে। ওই স্কুলের প্রধান শিক্ষক বলেন, ‘‘আমি জানি না ঠিক কবে থেকে এই নির্মাণকাজ শুরু হয়েছে। তবে নির্মাণকাজ হচ্ছে দেখে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি লিখিত ভাবে জানিয়েছি। এটি স্কুলের জায়গা বলে ওঁরা (তৃণমূল) মৌখিক ভাবে স্বীকারও করে নিয়েছেন।’’

গাজিনগর মালঞ্চা অঞ্চলের প্ৰধান উত্তম সাহার তত্ত্বাবধানে স্কুলের পাশে তৃণমূলের কার্যালয় গড়ে উঠছে বলে অভিযোগ। যার অর্ধেক অংশ রয়েছে স্কুলের জমিতে। অভিযোগ, প্ৰধান শিক্ষক বাধা দিলেও তার তোয়াক্কা না করেই নির্মাণকাজ চলতে থাকে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা তথা স্থানীয় গাজিনগর মালঞ্চা গ্রাম পঞ্চায়েত প্ৰধান উত্তম সাহা কার্যত বিষয়টি না জানার ভান করেন। তাঁর দাবি, ‘‘স্থানীয় মানুষজনই পার্টি অফিস করার জন্য জায়গা দিয়েছিলেন। কিন্তু পরে শুনলাম ওটা স্কুলের জায়গা। আর কিছু জানি না। বিষয়টি খোঁজ নিয়ে জানাব।’’ গাজিনগর মালঞ্চ তৃণমূল অঞ্চল সভাপতি শুকরদি শেখ বলেন, ‘‘খবর পেয়েই নির্মাণকাজ বন্ধ করার নির্দেশ দিয়েছি। সকলে মিলে বসে আলোচনা করে বিষয়টি মিটমাট করা হবে।’’ দু’পক্ষের মধ্যে মিটমাটের চেষ্টা শুরু করেছে স্থানীয় প্রশাসন। শমসেরগঞ্জের বিডিও কৃষ্ণচন্দ্র মুন্ডা বলেন, ‘‘বিষয়টি তদন্ত করে দেখার জন্য পুলিশকে জানানো হয়েছে। ওই জমিটি মেপে দেখা হয়নি। ফলে জমির কোন অংশ কার, তা এখনও জানা যায়নি। উভয় পক্ষের সঙ্গে আগামী শনিবার বৈঠকে বসে সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করা হবে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

school TMC land grabbing
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE