Advertisement
E-Paper

জলসায় তাণ্ডব, কোন্দল তৃণমূলের ভিতরেই

কুপার্স শহর বিজেপি সভাপতি দীপক দে-র দাবি, “এলাকার ক্ষমতা কার হাতে থাকবে তা নিয়ে কুপার্স নোটিফায়েডের ভাইস চেয়ারম্যান দিলীপ দাস এবং কুপার্স শহর তৃণমূলের সভাপতি এবং কাউন্সিলরের মধ্যে ঠাণ্ডা লড়াই চলছে।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৯ নভেম্বর ২০১৯ ০২:০৬
প্রতীকী ছবি

প্রতীকী ছবি

জলসা চলছিল। তার মধ্যেই কে বা কারা হঠাৎ মাইক বন্ধ করে দেয়। তাতেই তেতে ওঠে পরিবেশ। শুরু হয় মারামারি। ভয়ে মহিলারা পালাতে থাকেন। অনুষ্ঠান বন্ধ হয়ে যায়। শেষে পুলিশ এসে মারমুখী জনতাকে ছত্রভঙ্গ করে পরিস্থিতি সামলায়। রবিবার রাতে রানাঘাট থানার কুপার্স ক্যাম্প এলাকায় এই ঘটনায় কোনও অভিযোগ দায়ের হয়নি। কাউকে গ্রেফতারও করা হয়নি। তবে তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দলের জেরে এই ঘটনা বলে অভিযোগ করেছে বিজেপি।

কুপার্স শহর বিজেপি সভাপতি দীপক দে-র দাবি, “এলাকার ক্ষমতা কার হাতে থাকবে তা নিয়ে কুপার্স নোটিফায়েডের ভাইস চেয়ারম্যান দিলীপ দাস এবং কুপার্স শহর তৃণমূলের সভাপতি এবং কাউন্সিলরের মধ্যে ঠাণ্ডা লড়াই চলছে। এ দিন অনুষ্ঠান মঞ্চে দিলীপ দাস-সহ অন্যরা উপস্থিত ছিলেন। তাই তাঁর বিরোধী গোষ্ঠীর লোকজন এই কাণ্ড ঘটিয়েছে।”

অভিযোগ অবশ্য মানতে চাননি স্থানীয় তৃণমূল নেতারা। তাঁরা কেউ দাবি করেছেন, অনুষ্ঠানের মঞ্চে বিজেপির এক জনকে দেখতে পেয়ে জনতার একাংশ খেপে গিয়ে এই কাণ্ড ঘটিয়েছেন। আবার কারও দাবি, কিছু মত্ত লোকের জন্য সমস্যা তৈরি হয়েছে।

কুপার্স শহর সভাপতি তথা কাউন্সিলার পিন্টু দত্ত বলেন, “আমি ঘটনার সময়ে এলাকায় ছিলাম না। রানাঘাট শহরে গিয়েছিলাম। পরে বাড়ি ফেরার সময়ে গোলমাল হচ্ছে শুনে ছুটে যাই। স্থানীয় কিছু ছেলে গোলমাল করছিল, তাদেরকে গিয়ে সরিয়ে দিই।” তাঁর দাবি, ‘‘পরে জানতে পেরেছি, মঞ্চে বিজেপি-র এক জন উপস্থিত ছিলেন। তাঁকে এলাকার কিছু ছেলে মেনে নিতে পারেননি। তাই গোলমাল হয়েছে। আমাদের দলের গোষ্ঠী কোন্দলের কোনও বিষয় এটা নয়।”

কুপার্স নোটিফায়েডের ভাইস চেয়ারম্যান দিলীপ দাস বলেন, “আমার বাড়ির কাছে অনুষ্ঠান হচ্ছিল। এমন সময় মাইক বন্ধ করে দেওয়া হয়। ২০১২ সাল থেকে তৃণমূল করছি। অনেকেই সেই সময় কংগ্রেস করতেন। কারও সঙ্গে আমার কোনও বিরোধ নেই। আক্রমণকারীরা অধিকাংশ বহিরাগত বলে জানতে পেরেছি।” কুপার্স ক্যাম্প নোটিফায়েডের চেয়ারম্যান তৃণমূলের শিবু বাইনের আবার বক্তব্য, ‘‘আমাদের দলে কোনও গোষ্ঠী কোন্দল নেই। মদের নেশায় কিছু মত্ত ওই কাণ্ড ঘটিয়েছে বলে জানতে পেরেছি।” রানাঘাট জেলা তৃণমূলের সভাপতি ও বিধায়ক শংকর সিংহ বলেন, “ওখানে কি হয়েছে সেটা আমার জানা নেই। তবে,তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দলের প্রশ্নই নেই।”

TMC Cooper's Camp Ranaghat
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy