প্রতীকী চিত্র।
বিজেপি প্রার্থীর বা়ড়িতে বোমাবাজির অভিযোগ উঠল শাসক তৃণমূলের বিরুদ্ধে। রবিবার নদিয়ার কৃষ্ণগঞ্জ ব্লকের নাঘাটার ঘটনা। অভিযোগ, দলীয় প্রার্থীর বাড়িতে হামলার সময় তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীদের বাধা দিতে গিয়ে ‘আক্রান্ত’ হয়েছেন রানাঘাট দক্ষিণের বিজেপি বিধায়ক মুকুটমণি অধিকারীর বাবা ভূপাল অধিকারী এবং ভাই অনুপম অধিকারীও। বিজেপির দাবি, অনুপমের মাথা ফাটিয়ে দেওয়া হয়েছে। বিধায়কের ভাই ছাড়াও আরও বেশ কয়েক জন আহত হয়েছেন। তাঁদের স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। তৃণমূল অবশ্য হামলার অভিযোগ অস্বীকার করেছে। উল্টে শাসকদলের দাবি, বিজেপিই তাদের কর্মীদের উপর হামলা চালিয়েছে।
বিজেপির অভিযোগ, কৃষ্ণগঞ্জ পঞ্চায়েত সমিতি আসনে দাঁড়ানো বিজেপি প্রার্থী কল্পনা সরকারের বাড়িতে রবিবার সন্ধ্যায় আচমকা হামলা চালান তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা। ছোড়া হয় বোমাও। বিজেপি কর্মীরা দুষ্কৃতীদের বাধা দিতে গেলে তাঁদেরও লাঠি, বাঁশ দিয়ে মারধর করা হয়। স্থানীয় সূত্রে খবর, কল্পনার বাড়ির কাছে মুকুটমণির পৈতৃক বাড়ি। গন্ডগোলের খবর পেয়ে বিধায়কের বাবা এবং ভাই ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন। বিজেপির অভিযোগ, তাঁরা দুষ্কৃতীদের বাধা দিতে গেলে তাঁদেরও মারধর করা হয়। হামলায় অনুপমের মাথা ফেটে গিয়েছে। আরও ছ’জন আহত হয়েছেন। তাঁদের প্রথমে কৃষ্ণগঞ্জ গ্রামীণ হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। পরে কয়েক জনের অবস্থার অবনতি হলে তাঁদের নিয়ে যাওয়া হয় শক্তিনগর হাসপাতালে। মুকুটমণি বলেন, ‘‘গ্রাম দখল করতে তৃণমূলের সশস্ত্র দুষ্কৃতী বাহিনী বিজেপি প্রার্থীর বাড়িতে বোমা হামলা চালিয়েছে। বাধা দিতে গেলে অনেকেই আক্রান্ত হয়েছেন।’’
সব অভিযোগ অস্বীকার করে তৃণমূলের দাবি, বিজেপির লোকেরাই তাদের উপর হামলা চালিয়েছে। সেই হামলায় তাদের দু’জন জখমও হয়েছেন। রানাঘাট সাংগঠনিক জেলা তৃণমূলের সভাপতি দেবাশিস গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, ‘‘বিজেপির বিধায়ক-সহ স্থানীয় নেতৃত্বের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগে মানুষ সরব হওয়াতেই আক্রমণ করেছেন বিজেপি দুষ্কৃতীরা।’’
পুলিশ সূত্রে খবর, সংঘর্ষের ঘটনার তদন্তে নেমে দু’পক্ষের তিন জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। সোমবার তাঁদের কৃষ্ণনগর জেলা দায়রা আদালতে হাজির করানো হয়। ধৃতদের মধ্যে দু’জন বিজেপি সমর্থক এবং একজন তৃণমূলের বলে জানা গিয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy