প্রকাশ্য রাস্তার উপরে বেধড়ক মার খেলেন জঙ্গিপুরের তৃণমূলের শহর কমিটির সভাপতি ফিরোজ শেখ। ফিরোজ দলের ১ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলরও। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাঁকে জঙ্গিপুর মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। কিছুক্ষণের মধ্যে অবস্থার অবনতি হলে তাঁকে বহরমপুরে মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।
তৃণমূল সূত্রেই খবর, জঙ্গিপুর পুরসভায় তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জেরে এক গোষ্ঠীর দলবলের হাতে এই ভাবে দিনেদুপুরে আক্রান্ত হলেন দলের শহর সভাপতি। এই ঘটনায় শহর জুড়ে উত্তেজনা তৈরি হয়, কারণ ফিরোজ এলাকায় যথেষ্ট প্রভাবশালী ও দাপুটে কাউন্সিলর।
অভিযোগ, শুক্রবার বেলা তিনটে নাগাদ দুয়ারে সরকার শিবির থেকে এক জনের বাইকে চড়ে ফিরোজ রঘুনাথগঞ্জে জঙ্গিপুর পুরসভায় যাচ্ছিলেন। জঙ্গিপুর শহরের ‘কিছুক্ষণ’ লজের পাশে একটি প্রাথমিক স্কুলের সামনে তৃণমূলেরই জনা ১৫ কর্মী সমর্থক বাঁশ, লাঠি, লোহার রড ইত্যাদি নিয়ে অতর্কিতে ফিরোজ ও তাঁর সঙ্গীর মোটরবাইক আটকে হামলা চালায়। ফিরোজ বাইকের পিছনে বসেছিলেন।
তৃণমূল নিয়ন্ত্রিত জঙ্গিপুর পুরসভার উপ পুরপ্রধান সন্তোষ চৌধুরীর অভিযোগ, “পুরপ্রধানের সঙ্গে চলতে থাকা বিবাদের জেরে তাঁর অনুগত তৃণমূল কর্মী সমর্থকেরাই এই হামলা চালিয়েছে। ফিরোজ তাদের চিনেছে এবং নামধামও বলেছে। এই মুহূর্তে হাসপাতালে অক্সিজেন চলছে তাঁর।’’ সন্তোষ বলেন, ‘‘পুলিশ, দলের সভাপতি খলিলুর রহমান সহ সকলকেই এই হামলার কথা জানানো হয়েছে। পুলিশকে বলা হয়েছে যেখানে এই ঘটনা ঘটেছে সেখানে সিসি ক্যামেরা রয়েছে। কারা ছিল এই হামলায় তাদের চিহ্নিত করে অবিলম্বে গ্রেফতার করা হোক।”
পুরপ্রধান মফিজুল ইসলাম অবশ্য বলেন, “জঙ্গিপুর পাড়ে আমার লোকজন কোথায়? কে মেরেছে, কেন মেরেছে আমি কিছুই জানি না। বাড়ি থেকে হাসপাতালে যেতাম ফিরোজকে দেখতে। শুনলাম তাঁকে বহরমপুরে রেফার করা হয়েছে।” তিনি বলেন,“আমাকে জানানো হয়েছে ফিরোজের দুর্ঘটনা ঘটেছে। কোনও গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব নেই তৃণমূলের কাউন্সিলরদের মধ্যে। সবটাই মিথ্যে দোষারোপের চেষ্টা।’’ জঙ্গিপুরের তৃণমূল জেলা সভাপতি খলিলুর রহমান বলেন, “আমাকে ফোন করে জানিয়েছেন উপ পুরপ্রধান। হামলা যারাই করুক ঠিক হয়নি।’’
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)