Advertisement
E-Paper

এসএফআই নেতাকে মার

দু’হাজার টাকা বেতনের শিক্ষক নিয়োগ, শান্তিপুর-সহ বিভিন্ন কলেজে নৈরাজ্য সৃষ্টি, দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত মিড-ডে মিল চালু করার মতো বেশ কিছু দাবি-দাওয়া নিয়ে সোমবার দুপুরে জেলাশাসকের দফতরে স্মারকলিপি দেয় এসএফআই।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৯ জানুয়ারি ২০১৯ ০৩:১৪
ঘটনার পরে এসএফআই অফিসে।

ঘটনার পরে এসএফআই অফিসে।

জেলাশাসককে স্মারকলিপি দিয়ে ফেরার সময়ে এসএফআই নেতাদের উপরে হামলা চালানোর অভিযোগ উঠল টিএমসিপি-র বিরুদ্ধে। নিগ্রহ করা হয় এসএফআইয়ের রাজ্য সম্পাদককেও। যদিও পাল্টা মারধরের অভিযোগ তুলেছে টিএমসিপি। উভয় পক্ষের ছ’জনকে শক্তিনগর জেলা হাসপাতালে নিয়ে গিয়ে চিকিৎসা করানো হয়েছে।

দু’হাজার টাকা বেতনের শিক্ষক নিয়োগ, শান্তিপুর-সহ বিভিন্ন কলেজে নৈরাজ্য সৃষ্টি, দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত মিড-ডে মিল চালু করার মতো বেশ কিছু দাবি-দাওয়া নিয়ে সোমবার দুপুরে জেলাশাসকের দফতরে স্মারকলিপি দেয় এসএফআই। পোস্ট অফিস মোড় থেকে মিছিল করে প্রশাসনিক ভবনের সামনে গিয়ে বিক্ষোভ দেখায় তারা। পরে স্মারকলিপি জমা দেওয়া হয়।

কর্মসূচি শেষ হওয়ার পরে বেশির ভাগ কর্মী-সমর্থক ফিরে যান। জনা কয়েক রাজ্য ও জেলা স্তরের নেতা হেঁটে পোস্ট অফিস মোড়ের দিকে যাচ্ছিলেন। তাঁদের অভিযোগ, রবীন্দ্র ভবনের সামনে টিএমসিপি-র ছেলেরা তাঁদের গালিগালাজ, পরে মারধর শুরু করে। এসএফআইয়ের রাজ্য সম্পাদক সৃজন ভট্টাচার্য, জেলা সম্পাদক শান্তনু সিংহ নিগৃহীত হন। জেলা সভাপতি বাবুসোনা সরকার ও এক মহিলা কর্মীকে মারধর করা হয়েছে বলে অভিযোগ।

এসএফআই জেলা সম্পাদকের অভিযোগ, “রবীন্দ্র ভবনের সামনে টিএমসিপির গুন্ডাবাহিনী জড়ো হয়েছিল। ওরা আমাদের গালিগালাজ করতে থাকে। ওদের প্ররোচনায় পা দেব না বলে আমরা কোনও কতা বলিনি। আমাদের এক জন শুধু ওদের দিকে তাকিয়েছিল। এটাই অপরাধ। প্রথমে ওরা বাবুসোনা সরকারকে মারধর শুরু করে। আমরা ঠেকাতে গেলে বাকিদেরও কিল-চড় মারে। লাঠি দিয়েও মারা হয়েছে।”

টিএমসিপির পাল্টা দাবি, তাদের কর্মীদের মারধর করেছেন এসএফআই নেতারা। কৃষ্ণনগর গভর্নমেন্ট কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের এক ছাত্রকে হাসপাতালে নিয়ে গিয়ে চিকিৎসা করানো হয়েছে। সংগঠনের কৃষ্ণনগর গভর্নমেন্ট কলেজ ইউনিটের সভাপতি সুজয় হালদারের দাবি, “শুভ পালল নামে ওই ছাত্র সাইকেল চালিয়ে বাড়ি ফিরছিল। তার হাতে আমাদের ঝান্ডা ছিল। তা দেখে এসএফআই নেতারা তাকে বেধড়ক মারধর করে। আমাদের কেউ ওদের মারধর করেনি।” রাতে দুই পক্ষই পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করেছে।

তবে টিএমসিপির অভিযোগ হাস্যকর বলে দাবি এসএফআই রাজ্য নেতৃত্বের। রাজ্য সম্পাদক সৃজন ভট্টাচার্যের দাবি, “ওরা আমাদের কলেজে ঢুকতে দিচ্ছে না। কিন্তু রাস্তায় শয়ে-শয়ে কমরেডকে দেখে আতঙ্কিত হয়ে ওরা এই হামলা চালিয়েছে।” টিএমসিপির জেলা সভাপতি সৌরিক মুখোপাধ্যায় পাল্টা বলেন, “অস্তিত্বের সঙ্কটে ভোগা এসএফআই সংবাদমাধ্যমে বেঁচে থাকতে আমাদের কর্মীদের উপরে হামলা চালিয়ে উল্টে আমাদের দিকেই আঙুল তুলছে।”

নিজস্ব চিত্র

TMCP SFI Violence
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy