জঞ্জাল সাফাইয়ের টোটো। রানিনগর ১ ব্লকে। ছবি: সাফিউল্লা ইসলাম
টোটোর পিছনে নীল সবুজ বাক্স। মাথায় বাঁধা ছোট্ট মাইক। গ্রামের পাড়ায় পাড়ায় ঘুরবে স্বচ্ছ ভারত মিশন গ্রামীণ প্রকল্পের এমন টোটো। মাইকের আওয়াজ শুনে গ্রামের বাসিন্দারা জঞ্জাল এনে ফেলছেন সেই নীল-সবুজ বাক্সে। পুরসভাকে টেক্কা দিয়ে আধুনিক জঞ্জাল সাফাই পরিষেবা শুরু হতে চলেছে রানিনগর-১ পঞ্চায়েত সমিতির এলাকায়।
ওই এলাকার ৬টি গ্রাম পঞ্চায়েতে মোট ২১টি এমন টোটো দেওয়া হয়েছে স্বচ্ছ ভারত মিশন গ্রামীণ প্রকল্পে। ব্লক প্রশাসনের দাবি, এই প্রকল্প চালু হওয়ার পরে গ্রামীণ এলাকার বাসিন্দারা উপকৃত হবেন। টোটোতে সংগ্রহ করা প্লাস্টিক বিশেষ জায়গায় জড়ো করে পুনরায় ব্যবহারের যোগ্য করে তোলা হবে। তার জন্য প্লান্ট তৈরি করা হয়েছে রানিনগর ১ পঞ্চায়েত সমিতির কিসান মান্ডি এলাকায়। রানিনগর ১ ব্লকের ইসলামপুর গ্রাম পঞ্চায়েতে ছ’টি এবং অন্যান্য পাঁচটি গ্রাম পঞ্চায়েতে তিনটি করে জঞ্জাল বহনের টোটো দেওয়া হয়েছে। সুফল মিললে প্রতিটি গ্রামেই তা দেওয়া হবে বলে দাবি পঞ্চায়েত থেকে প্রশাসনের। রানিনগর-১ ব্লক প্রশাসনের দাবি, স্বচ্ছ ভারত মিশন (গ্রামীণ) প্রকল্পে এই প্রথম এমন পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। তাদের আশা, এই প্রকল্পের মাধ্যমে প্লাস্টিকের দূষণ থেকে মুক্তি মিলবে ওই এলাকার বাসিন্দাদের।
ওই ব্লকের বিডিও সৈকত বিশ্বাস বলেন, ‘‘টোটোগুলি এখনও সব জায়গায় কাজে লাগানো যায়নি। তবে কিছু কিছু জায়গায় ইতিমধ্যে কাজ শুরু হয়েছে। আশা করছি, আগামী দিনে সব এলাকায় জঞ্জাল সংগ্রহের কাজ শুরু হয়ে যাবে।’’
দিন কয়েক আগে এই প্রকল্পের উদ্বোধন করেন রানিনগরের বিধায়ক সৌমিক হোসেন। তিনি বলেন, ‘‘এই প্রকল্প চালু হলে প্লাস্টিকের দূষণ কমবে।’’ পঞ্চায়েত প্রধানদের দাবি, প্রথমে এই কাজ করতে কিছুটা বেগ পেতে হবে। কিন্তু ধীরে ধীরে অভ্যস্থ হয়ে উঠবেন মানুষ। প্লাস্টিকের প্যাকেট প্রচুর ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকে। সেগুলি সংগ্রহ করতে পারলেও রক্ষা পাবে পরিবেশ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy