চাঁদার জুলুমের প্রতিবাদে বন্ধ রইল দোকান। বৃহস্পতিবার তাহেরপুরে। ছবি: প্রণব দেবনাথ
চাঁদার জুলুমের অভিযোগ তুলে বৃহস্পতিবার দোকানপাট বন্ধ রাখলেন তাহেরপুরে ব্যবসায়ীরা। পুলিশের কাছে স্মারকলিপিও দেওয়া হয়েছে। অবিলম্বে প্রশাসনের তরফে ব্যবস্থা নেওয়া না হলে বৃহত্তর আন্দোলনে নামবেন বলেও তাঁরা হুমকি দিয়েছেন।
ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, দুর্গাপুজো ও কালীপুজো থেকে শুরু করে বিভিন্ন পুজো ও অনুষ্ঠানের জন্য এলাকার সংগঠন এবং ক্লাবগুলি চাঁদার জন্য জুলুম করছে। দুর্গা ও কালীপুজোতেই জুলুম বেশি হয়। মোটা অঙ্কের চাঁদা দাবি করা হয়। চাহিদা অনুযায়ী চাঁদা দিতে না পারলে দোকানের মালপত্র ফেলে দেওয়া থেকে শুরু করে গালিগালাজ, হুমকি, মারধরও করা হয় বলে অভিযোগ। এই নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে ব্যবসায়ীদের মধ্যে ক্ষোভ রয়েছে। তাঁদের অভিযোগ, বুধবার রাতেও তাহেরপুর বড়বাজারে চাহিদা অনুযায়ী চাঁদা না পেয়ে মালপত্র ফেলে দিয়ে ব্যবসায়ীকে মারধর করা হয়েছে। এর পরে আন্দোলন ছাড়া পথ ছিল না।
তাহেরপুর বড়বাজার এলাকায় প্রায় এগারোশো দোকান রয়েছে ছোট-বড় মিলিয়ে। চাঁদার জুলুমের প্রতিবাদে তাঁরা এ দিন ২৪ ঘণ্টার জন্য ব্যবসা বন্ধ রাখেন। তাহেরপুর থানায় গিয়ে স্মারকলিপিও জমা দেন। তাহেরপুর বড়বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সম্পাদক বিশ্বজিৎ দাস বলেন, “দীর্ঘদিন ধরে বাজারের ব্যবসায়ীদের উপরে পুজো কমিটিগুলির চাঁদার জুলুম চলছে। এর আগে প্রশাসনকেও জানানো হয়েছে। ফল হয়নি। এক ব্যবসায়ীকে মারধর করা হয়েছে। পুলিশ ব্যবস্থা না নিলে বৃহত্তর আন্দোলনের পথে যাব।”
এর আগেও তাহেরপুর থানার বাদকুল্লায় হাটে ফসল নিয়ে আসা চাষিদের উপর চাঁদার জন্য জুলুমের অভিযোগ উঠেছিল। রাস্তা অবরোধও করা হয়। শান্তিপুর থানার ফুলিয়াতেও চাঁদার জুলুমের অভিযোগ উঠেছে সম্প্রতি। ব্যবসায়ীদের থেকে মোটা অঙ্কের চাঁদা নিয়ে জুলুমের বিরুদ্ধেও সরব হয়েছেন অনেকে। তবে তাতেও কাজ হয়নি। কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি উঠছে সব মহলেই। তাহেরপুরের পুরপ্রধান রতনরঞ্জন রায় বলেন, “চাঁদার জুলুমের বিষয়টি এর আগেও আমাদের কানে এসেছে। পুলিশকেও বলেছি ব্যবস্থা নিতে।” রানাঘাট পুলিশ জেলার সুপার ভিএসআর অনন্তনাগ বলেন, ‘‘এ সব বরদাস্ত করা হবে না। আমরা খোঁজ নিয়ে ব্যবস্থা নেব।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy