ভাইফোঁটায় মামার বাড়ি এসেছিলেন দুই ভাই। গিয়েছিলেন মেলা দেখতে। ফেরার পথে মোটরবাইক দুর্ঘটনায় মারা গেলেন দু’জনেই। বুধবার রাতে খড়গ্রামের গয়েশপুর গ্রামের ওই ঘটনায় মৃতদের নাম বিশ্বজিৎ দাস (২৫) ও তন্ময় লেট (২২)। ওই ঘটনায় গুরুতর জখম জখম সৃষ্টিধর দাসকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে।
মামার বাড়ির পাশের গ্রামে কালীপুজোর মেলা বসে। ভাইফোঁটাতে সেখানেই গিয়েছিলেন তন্ময়। সঙ্গে ছিলেন মামাতো দাদা বিশ্বজিৎ ও মাসতুতো ভাই সৃষ্টিধর। গয়েশপুর থেকে এড়োয়ালির ওই পুজো দেখতে তিনজনেই চড়ে বসেছিলেন মোটরবাইকে। মেলা দেখে গ্রামে ফিরতে দেরি হয়ে গিয়েছিল। দুরন্ত গতিতে ছুটছিল বাইক। মোটরবাইক চালাচ্ছিলেন তন্ময়। এড়োয়ালি আর গয়েশপুরের মাঝে একটি ভাঙা কালভার্টের কাছে নিয়ন্ত্রণ রাখতে পারেনি বাইকটি। ছিটকে পড়েন তিন জনেই।
ঘটনাস্থলেই মারা যান তন্ময়। গুরুতর জখম অবস্থায় বিশ্বজিৎ ও সৃষ্টিধরকে প্রথমে খড়গ্রাম গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকে পাঠানো হয় কান্দি মহকুমা হাসপাতালে। তবে পথেই মারা যান বিশ্বজিৎ। পরে, সৃষ্টিধরকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়।
ভাইফোঁটার মুখে একই পরিবারের দুই ভাইয়ের এমন অকাল মৃত্যুতে গ্রাম জুড়ে শোকের ছায়া। পরিবারের লোকেদের অভিযোগ, এড়োয়ালির ওই ভাঙা কালভার্টটির কাছে দুর্ঘটনা প্রায় নিত্য ঘটনায় দাঁড়িয়েছে। দীর্ঘ দিন এ ভাবেই পড়ে থাকলেও সে’টি সংস্কারের কাজে হাত দেয়নি প্রশাসন। তন্ময়দের এক ভাই অভিজিৎ বলেন, “রাস্তার মাঝে কালভার্টটি ভাঙা অবস্থায় পড়ে আছে। কারও হেলদোল নেই। তন্ময় মোটরবাইক চালাচ্ছিল। রাস্তার মধ্যে ভাঙা কালভার্টটি বুঝতেই পারেনি।’’
পুলিশ জানায়, ভাঙা কালভার্টের কাছে মোটরবাইকটি নিয়ন্ত্রণে রাখতে না পারার ফলেই দুর্ঘটনাটি ঘটেছে বলে মনে হচ্ছে। ঘটনাটি মর্মান্তিক বলছেন, খড়গ্রামের বিধায়ক আশিস মার্জিত। তিনি বলেন, “রাস্তার মাঝে এমন ভাঙা কালভার্ট থাকা উচিত নয়। আমি দ্রুত সংস্কার করার ব্যবস্থা করতে বলছি।’’