Advertisement
E-Paper

হেলমেট সঙ্গে নিন, আর্জি মৃতের কাকার

হেলমেটহীন, চালকের লাইসেন্স না থাকায়, বেপরোয়া গতিতে মোটরবাইক চালানোর অভিযোগে ভগবানগোলা থানা ফি মাসে কমবেশি আড়াইশো জনের থেকে জরিমানা আদায় করে। তার পরেও লাগাম পরানো যায়নি বেপরোয়া মোটরবাইক চালানোয়।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৬ সেপ্টেম্বর ২০১৭ ০৭:৩০

মোটরবাইক নিয়ে বেরিয়ে আর বাড়ি ফেরেনি ভাইপো শামিম আখতার। মঙ্গলবার এক র‌্যালিতে যোগ দিয়ে সেই কথা বলছিলেন কাকা আব্দুর রাজ্জাক। তাঁর আক্ষেপ, ‘‘ভাইপোর মাথায় হেলমেট থাকলে হয়তো মৃত্যু ঠেকানো যেত।’’ তাই এরপর থেকে মোটরবাইক নিয়ে বেরোনোর সময় কেউ যাতে হেলমেট সঙ্গে নিতে না ভোলেন সে কথাই বারবার মনে করিয়ে দিচ্ছিলেন তিনি।

হেলমেটহীন, চালকের লাইসেন্স না থাকায়, বেপরোয়া গতিতে মোটরবাইক চালানোর অভিযোগে ভগবানগোলা থানা ফি মাসে কমবেশি আড়াইশো জনের থেকে জরিমানা আদায় করে। তার পরেও লাগাম পরানো যায়নি বেপরোয়া মোটরবাইক চালানোয়। তাই এলাকার মানুষকে সচেতন করতে মঙ্গলবার ভগবানগোলায় মোটরবাইক র‌্যালি করেন এলাকার একদল যুবক। তাতে যোগ দেন গত ছ’মাসে পথ দুর্ঘটনায় মারা যাওয়া দুই স্কুল পড়ুয়ার বাড়ির লোকজন।

গত ১৫ অগস্ট সকালে বাড়ি থেকে মোটরবাইক চালিয়ে কানাপুকুর গ্রামীণ হাসপাতালে যাওয়ার পথে দুর্ঘটনায় পড়ে নবম শ্রেণির ছাত্র শামিম। পরে কলকাতায় বেসরকারি একটি হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়। অন্য দিকে, একই ভাবে মোটরবাইক নিয়ে দুর্ঘটনায় পড়ে মারা যায় রিমন হালদার। তার দাদা সমীর হালদার জানান, বেপরোয়া মোটরবাইক চালানোর ফলে যারা চলে যায়, তাদের পরিবারে যে অন্ধকার নেমে আসে, তা সহ্য করা যায় না। তাঁর কথায়, ‘‘হেলমেটহীন ও বেপরোয়া মোটরবাইক চালানোর বিরুদ্ধে গণ সচেতনতা গড়ে তোলা দরকার। ’’

ভগবানগোলা থানার ওসি উৎপল দাস জানান, এক শ্রেণির অভিভাবক সচেতন না হওয়ায় অল্পবয়েসিদের হাতে মোটরবাইক ধরিয়ে দিচ্ছেন। তারা ট্র্যাফিক আইন না মেনে চালানোর ফলে দুর্ঘটনায় পড়ছে। তাই তাঁর পরামর্শ, স্কুল-কলেজ পড়ুয়াদের পাশাপাশি অভিভাবকদেরও সচেতন হওয়া জরুরি।

Accident Helmet Safe Drive Save Life ভগবানগোলা
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy