Advertisement
০৭ মে ২০২৪
Unnatural Death

যাদবপুরের ছায়া এ বার কৃষ্ণনগরে! ইঞ্জিনিয়ারিং ছাত্রীর রহস্যমৃত্যু, খুনের অভিযোগ পরিবারের

পরিবারের অভিযোগ, কলেজ কর্তৃপক্ষই ছাত্রীকে খুন করে রেললাইনের ধারে ফেলে দিয়েছে। এ ব্যাপারে পুলিশের কাছে খুনের অভিযোগও দায়ের করেছেন ছাত্রীর বাবা।

representational image

— প্রতীকী ছবি।

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা
কৃষ্ণনগর শেষ আপডেট: ৩০ নভেম্বর ২০২৩ ১৩:১১
Share: Save:

পরিবারের অভিযোগ, কলেজ কর্তৃপক্ষই ছাত্রীকে খুন করে রেললাইনের ধারে ফেলে দিয়েছে। এ ব্যাপারে পুলিশের কাছে খুনের অভিযোগও দায়ের করেছেন ছাত্রীর বাবা।

২৪ ঘণ্টারও বেশি সময় নিখোঁজ থাকার পর রেললাইনের ধার থেকে উদ্ধার হল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের দ্বিতীয় বর্ষের পড়ুয়া এক ছাত্রীর দেহ। ঘটনাটি ঘটেছে নদিয়ার কৃষ্ণনগরের কোতয়ালি থানার মতিসুন্দরীর রেললাইন সংলগ্ন এলাকায়। দেহের ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে এলে মৃত্যুর কারণ স্পষ্ট হবে বলে পুলিশ জানিয়েছে। যদিও খুনের অভিযোগে ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে থানায় এফআইআর করেছেন মৃত পড়ুয়ার বাড়ির লোকজন। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ছাত্রাবাসে নদিয়ার বাসিন্দা এক ছাত্রের অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই সেই জেলাতেই আবারও এক পড়ুয়ার অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে এলাকায়।

সোমবার সন্ধ্যা থেকে বার বার ফোন বেজে গেলেও মেলেনি উত্তর। বেশ কয়েক বার ফোন করার পর তাঁর এক সহপাঠী ফোন তুলে জানান, ঘরে নেই তরুণী। সোমবার সন্ধ্যা থেকে নিখোঁজ থাকার পর, মঙ্গলবার সন্ধ্যায় রেললাইনের পাশ থেকে ক্ষতবিক্ষত দেহ উদ্ধার হয় সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের পড়ুয়া ওই ছাত্রীর।

পুলিশ সূত্রে খবর, ঝাড়খণ্ডের দুমকা জেলার রানিসওয়ার থানা এলাকার জোড়া গ্রামের বাসিন্দা ওই ছাত্রী। ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষে নদিয়ার কৃষ্ণনগরের বিপ্রদাস পাল চৌধুরী ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজিতে সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগে ভর্তি হন। তখন থেকে কলেজ হস্টেলেই থাকছিলেন। জানা গিয়েছে, হস্টেলে পরিবেশন করা খাবারের মান নিয়ে প্রিন্সিপালের সঙ্গে বেশ কয়েক বার বাদানুবাদেও জড়িয়ে পড়েছিলেন ওই ছাত্রী।

মৃত ছাত্রীর সহপাঠীদের সূত্রে খবর, সোমবার সন্ধ্যার পর থেকে আর দেখা পাওয়া যায়নি তাঁর। সম্প্রতি তাঁর প্রেমে বিচ্ছেদ হয়েছিল বলে তাঁর সহপাঠীদের কয়েক জনের দাবি। যদিও বিচ্ছেদের তত্ত্ব উড়িয়ে পরিবারের অভিযোগ, ক্যাম্পাসে তাঁকে খুন করে রেললাইনের ধারে দেহ ফেলে আসা হয়েছে। গোটা ঘটনার সঙ্গে কলেজের প্রিন্সিপাল যুক্ত বলেও পরিবারের অভিযোগ। প্রাথমিক ভাবে কোনও অভিযোগ না মেলায় পুলিশের পক্ষ থেকে স্বতঃপ্রণোদিত ভাবে অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলার রুজু করে তদন্ত শুরু হয়। বুধবার রাতে মৃত তরুণীর বাবা কৃষ্ণনগর কোতোয়ালি থানায় খুনের মামলা রুজু করেন। দু’টি এফআইআরকে একত্র করে নতুন করে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। শুক্রবার প্রাথমিক ময়নাতদন্ত রিপোর্ট পুলিশের হাতে পৌঁছবে বলে সূত্র মারফত জানা গিয়েছে। যাদবপুরকাণ্ডের পর ফের আরও এক কলেজ ছাত্রীর থাকাকালীন মৃত্যুর ঘটনায় নতুন করে চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে।

মৃত তরুণীর বাবা অভিযোগ করে বলেন, ‘‘খাবারের মান নিয়ে কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছিল মেয়ে। ওর আত্মহত্যা করার কোনও কারণ নেই। ওকে খুন করা হয়েছে। ঘটনার যথাযথ তদন্ত করে দোষীদের উপযুক্ত শাস্তির ব্যবস্থা করুক পুলিশ।’’ কলেজের অধ্যক্ষা মাধবী বিশ্বাস আনন্দবাজার অনলাইনকে বলেন, ‘‘ছাত্রীর খোঁজ না পাওয়াতে নিখোঁজ ডায়েরি করা হয়েছিল। বাকি ঘটনা পুলিশ তদন্ত করছে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Death police engineering college
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE