ধর্মঘটের মিশ্র প্রভাব চোখে পড়ল গোটা মুর্শিদাবাদ জেলা জুড়ে। বুধবার, দেশ জুড়ে ধর্মঘটের ডাক দিয়েছিল কেন্দ্রীয় শ্রমিক সংগঠনগুলি। সকাল থেকেই ধর্মঘট সফল করার উদ্দেশ্যে রাস্তায় নেমেছিলেন আন্দোলনকারীরা। বুধবার সকালে লালগোলা স্টেশনে ভাগীরথী এক্সপ্রেস ও ধনধান্যে এক্সপ্রেস আটকান আন্দোলনকারীরা। যদিও পরে পুলিশ আন্দোলনকারীদের সরিয়ে দিলে ট্রেন চলাচল শুরু হয়। বহরমপুর শহরেও মিছিল করেন আন্দোলনকারীরা। এদিন সকালে বহরমপুরের রাস্তায় নামেন তৃণমূলের পুর প্রতিনিধি ভীষ্মদেব কর্মকার। তাঁর দাবি এই ধর্মঘট ব্যর্থ হয়েছে। ধর্মঘটের কোন প্রভাব জেলায় পড়েনি। একই কথা বলেন বহরমপুরের পুরপ্রধান নাড়ু গোপাল মুখোপাধ্যায় এবং মুর্শিদাবাদের পুরপ্রধান ইন্দ্রজিৎ ধর। তাঁরা জানান,পুরসভায় উপস্থিতির হার ছিল একশো শতাংশ। বামেদের দাবি, ধর্মঘট সফল হয়েছে। সূত্রে জানা যায়, এ দিন বাস চলাচল করলেও তা ছিল সংখ্যায় কম।
তবে এ দিন মুষলধারে বৃষ্টি হয়েছে জেলার অনেক জায়গায়। তার জন্যও অনেকে ঘর থেকে বেরোননি।
বহরমপুরে মুর্শিদাবাদ জেলা সেন্ট্রাল কোঅপারেটিভ ব্যাঙ্কের দরজা সকালে বন্ধ ছিল। বেলা ১১টা নাগাদ সেখানে উপস্থিত হন তৃণমূলের পুরপ্রতিনিধি ভীষ্মদেব কর্মকার। তার পরে ব্যাঙ্কের দরজা খোলে। ভীষ্মদেব বলেন, ‘‘আমাদের উপস্থিতিতে মুর্শিদাবাদ জেলা সেন্ট্রাল কোঅপারেটিভ ব্যাঙ্কের কর্মীরা ব্যাঙ্ক খোলেন। কর্মীরাও কাজে যোগ দেন।’’ সেই প্রসঙ্গে কংগ্রেসের জেলা মুখপাত্র জয়ন্ত দাস বলেন, ‘‘সাধারণ মানুষ এ দিনের ধর্মঘটকে নৈতিক সমর্থন জানিয়েছেন। বল প্রয়োগ করে, দোকান বাজার, অফিস খোলানো যায়, কিন্তু তাতে মানুষের সমর্থন আদায় করা যায় না।’’
বহরমপুর-মুর্শিদাবাদ সাংগঠনিক জেলার বিজেপি সভাপতি মলয় মহাজন বলেন, ‘‘আমাদের জেলায় ধর্মঘটের কোন প্রভাব পড়েনি।’’ অতিরিক্ত জেলা শাসক (উন্নয়ন) চিরন্তন প্রামাণিক বলেন, ‘‘এ দিন প্রশাসনিক ভবনে উপস্থিতির হার ছিল স্বাভাবিক। ধর্মঘটের কোনও প্রভাব আমরা দেখিনি।’’ মুর্শিদাবাদ পুলিশ জেলার পুলিশ সুপার কুমার সানি রাজ বলেন, ‘‘ধর্মঘটের দিনে পরিস্থিতি ছিল স্বাভাবিক। কেউ গ্রেফতারও হয়নি।’’
ফেডারেশন অব বাস ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সহ সম্পাদক রথীন মণ্ডল বলেন, ‘‘ধর্মঘটের দিন বাস চলাচল করেছে। তবে তা সংখ্যায় ছিল কম।’’ সিটুর জেলা সাধারণ সম্পাদক জ্যোতিরূপ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‘জেলা জুড়ে আমাদের ধর্মঘট সফল হয়েছে।’’
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)