Advertisement
E-Paper

খুঁটি আছে বিদ্যুতের, নেই বাতিতে আঁধারে গ্রাম

পঞ্চায়েত অফিসের সামনে থেকে গোকুলনগর পর্যন্ত ইটের রাস্তা বেহাল।একশো দিনের প্রকল্পের মাধ্যমে এই রাস্তা ঢালাই করার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছিল। ছ’লক্ষ টাকা অনুমোদন করা হয়। কিন্তু এলাকার মানুষ চাইছে পিচের রাস্তা।

শেষ আপডেট: ১৭ এপ্রিল ২০১৭ ০১:২২
বেহাল: তারকদাসপুর থেকে পোড়াগাছার যাওয়ার রাস্তা। নিজস্ব চিত্র

বেহাল: তারকদাসপুর থেকে পোড়াগাছার যাওয়ার রাস্তা। নিজস্ব চিত্র

পঞ্চায়েত অফিসের সামনে থেকে গোকুলনগর পর্যন্ত ইটের রাস্তা বেহাল।

প্রসাদ বিশ্বাস, পানিনালা

একশো দিনের প্রকল্পের মাধ্যমে এই রাস্তা ঢালাই করার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছিল। ছ’লক্ষ টাকা অনুমোদন করা হয়। কিন্তু এলাকার মানুষ চাইছে পিচের রাস্তা।

পঞ্চায়েতের সিংহভাগ এলাকায় পানীয় জল পৌঁছয় না।

ভজহরি ঘোষ, ঘোষপাড়া

কৃষ্ণনগর-করিমপুর রাজ্য সড়ক সম্প্রসারণের সময় জেসিপি দিয়ে মাটি কাটায় পাইপ লাইন নষ্ট হয়ে গিয়েছে। পিএইচইকে বলেও লাভ হয়নি।

প্রায় প্রতিটা সংসদে অনেক জায়গায় বিদ্যুতের খুঁটি পড়লেও তার যায়নি। আবার অনেক বাড়িতে মিটার পৌঁছয়নি এখনও।

বিকাশ বিশ্বাস, জাভা বাজার

আমি নিজে গিয়ে বহুবার বিদ্যুৎ দফতরের কর্তাদের সঙ্গে কথা বলেছি। তাঁরা বারবার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। কিন্তু কোনও কাজ হয়নি। এ বার জেলা প্রশাসনকে জানাব।

তারকদাসপুর থেকে ঝাউতলার দূরত্ব প্রায় পাঁচ কিলোমিটার। ১০ বছর আগে রাস্তাটা পিচ দিয়ে তৈরি করা হয়েছিল। তার পর আজ পর্যন্ত হাত পড়েনি। রাস্তার অবস্থা বেহাল।

অমলেন্দু সরকার,তারকনগর

প্রধানমন্ত্রীর গ্রাম সড়ক যোজনার রাস্তা। বহু দিন ধরে শুনছি যে জেলা পরিষদ থেকে টেন্ডার ডাকা হয়েছে। কিন্তু কাজ শুরু হতে দেখছি না।

গোকুলনগর আদিবাসী কলোনিতে ৪৫ ঘর আদিবাসীর বাস। ইন্দিরা আবাস যোজনার ঘর পেলেও অন্য কোনও সরকারি সুযোগ সুবিধা পাচ্ছি না আমরা।

নিমাই সোরেন, গোকুলনগর

এদের জমি নিয়ে জটিলতা আছে। প্রথম দিকে ইন্দিরা আবাস যোজনার জন্য জমির দলিলের দরকার হত না। এখন জমির কাগজপত্র না থাকলে কোনও সরকারি সুযোগ সুবিধা পাইয়ে দেওয়া যাচ্ছে না।

কৃষ্ণনগর ১-এর ভাণ্ডারখোলা গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান গৌতম বিশ্বাস

পঞ্চায়েত এলাকায় যে সব প্রধান রাস্তা আছে সেখানে কোনও আলোর ব্যবস্থা নেই। তাই রাতের রাস্তাঘাট নিরাপদ নয়।

নাড়ুগোপাল ঘোষ, পানিনালা

পঞ্চায়েতের নিজস্ব তহবিল থেকে আলোর ব্যবস্থা করাই যায়। কিন্তু মাসে মাসে যে বিরাট অঙ্কের বিদ্যুতের বিল আসবে, সেটা মেটানোর মতো আর্থিক ক্ষমতা আমাদের নেই।

আমার বয়স ৭৫ বছর। কিন্তু আজও বার্ধক্য ভাতা পেলাম না। আমার মত একই অবস্থা বহু মানুষের।

বিশ্বদেব ঘোষ, গোকুলনগর

বার্ধক্য ভাতা পেতে গেলে বিপিএল তালিকায় নাম থাকতে হয়। ২০০৫ সালে বিপিএল তালিকা তৈরি হয়েছিল। সেখানে বহু গরিব মানুষেরই নাম ছিল না। আমরা অসহায়।

আমাদের এলাকায় বিঘের পর বিঘে ফসলি জমি থেকে মাটি কেটে নিয়ে যাচ্ছে। জমির পাশাপাশি প্রচণ্ড ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে রাস্তাঘাট।

নেপাল মন্ডল, গোকুলনগর

২০০৮ থেকে ২০১৩ সাল পর্যন্ত প্রধান থাকায় সময় অনেক চেষ্টা করেছিলাম এটা বন্ধ করার।
তার জন্য প্রাণ সংশয়ও দেখা দিয়েছিল। নানা হুমকি দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু প্রশাসনের তরফে কোনও সহযোগিতা পাইনি। আমরা হতাশ।

Village Problems Village people Panchayat Chief
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy