Advertisement
E-Paper

রাত বাড়তেই পুলিশের নজর ফাঁকি দিল বাজি

বাজির দাপট না থাকলেও শুক্রবার থেকেই শান্তিপুর ও ফুলিয়ার কিছু মণ্ডপে গভীর রাত পর্যন্ত তারস্বরে বেজেছে মাইক এবং বক্স। একই অবস্থা কালীগঞ্জ, কৃষ্ণগঞ্জ, চাপড়া এলাকাতেও। 

নিজস্ব প্রতিবেদন

শেষ আপডেট: ১৫ নভেম্বর ২০২০ ০০:৩৯
প্রতীকী ছবি।

প্রতীকী ছবি।

একেবারে নিশ্চিহ্ন করা গেল না। দীপাবলির রাতে নদিয়া জুড়ে আতশবাজি পোড়ানো অন্য বারের তুলনায় কম। কিন্তু রাত বাড়তে শেল এবং পটকর শব্দ ভেসে এসেছে নানা দিক থেকেই। জেলার উত্তর থেকে দক্ষিণ প্রায় সর্বত্র আতশবাজি কমবেশি পোড়ানো হয়েছে। এক কথায়, হাইকোর্টের নির্দেশ রক্ষার পরীক্ষায় পুলিশ একেবারে ‘ফেল’ না হলেও ‘ফুল মার্কস’-এর ধারে-কাছেও নেই।

শান্তিপুর, ফুলিয়া, বাদকুল্লা, তাহেরপুর এলাকায় কিছু বাড়িতে বা পাড়ার ভিতরে টুকটাক আতশবাজি ফেটেছে সন্ধ্যা থেকেই। কল্যাণী, দু একটা করে বাজি ফাটছে। আতশ বাজি। বিশেষ করে হাওয়াই বাজি। রানাঘাট, ধানতলা, গাংনাপুর, চাকদহের বিভিন্ন এলাকাতেও হাওয়াই আকাশে উঠতে দেখা গিয়েছে। যদিও শব্দবাজির দাপট রাত পর্যন্ত তত বেশি ছিল না। এখনো অবধি শব্দ বাজির আওয়াজ পাওয়া যায়নি। করিমপুর ও তার আশপাশের এলাকায় অন্য বার ব্যাপক ভাবে পটকা ফাটানো হত। এ বার সন্ধ্যা পর্যন্ত কিছু ফানুস আকাশে উড়তে দেখা যাচ্ছিল। রাত বাড়তে কিছু বাজি-পটকাও ফাটতে শুরু করে। তেহট্টে সন্ধ্যা প্রায় নিরুপদ্রবে পেরোলেও রাত বাড়তেই বাজি ফাটতে শুরু করেছে। বাজির দাপট না থাকলেও শুক্রবার থেকেই শান্তিপুর ও ফুলিয়ার কিছু মণ্ডপে গভীর রাত পর্যন্ত তারস্বরে বেজেছে মাইক এবং বক্স। একই অবস্থা কালীগঞ্জ, কৃষ্ণগঞ্জ, চাপড়া এলাকাতেও।

বিকেল পর্যন্ত পুলিশ অবশ্য বেশ আত্মবিশ্বাসী ছিল। শুধু কৃষ্ণনগর পুলিশ জেলাতেই শনিবার বিকেল পর্যন্ত ২৫ জনকে বাজি বিক্রির অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছে। বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে প্রায় ১ হাজার ৮০০ প্যাকেট বাজি। তুবড়ি এবং হাওয়াইয়ের পাশাপাশি কিছু শব্দবাজিও পাওয়া গিয়েছে বলে পুলিশ জানিয়েছে। জেলাসদর কৃষ্ণনগরের বিভিন্ন বাজারে পুলিশ অভিযান চালিয়েছে। ঘূর্ণীর বাজার এলাকা থেকে এক জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। নাকাশিপাড়া থানা গ্রেফতার করেছে তিন জনকে। বাজি বিক্রির অপরাধে শুক্রবার রাতে করিমপুরের মহিষবাথান বাজার থেকে একজন স্টেশনারি ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করে পুলিশ। হোগলবেড়িয়ার গোপালপুর ঘাটের একটি দোকানে হানা দিয়ে পুলিশ বেশ কিছু বাজি উদ্ধার করলেও অভিযুক্ত বিক্রেতা পলাতক। রানাঘাট মহকুমাতেও বেশ কিছু থানা এলাকায় শুক্র ও শনিবার তল্লাশি চালানো হয়েছে। বিশেষত বড় বড় বাজার এলাকায়। কিছু জায়গা থেকে বাজি উদ্ধারও হয়েছে। চাকদহ, রানাঘাট, গাংনাপুর, ধানতলায় পুলিশকে টহল দিতে দেখা গিয়েছে্। গাংনাপুর বাজার থেকে রানাঘাটে যাওযার রাস্তায় পুলিশ চেকিং বসেছিল। মোটরবাইক দেখলেই দাঁড় করিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা, সন্দেহ হলে তল্লাশি করা হয়েছে।

কৃষ্ণনগর পুলিশ জেলার সুপার বিশ্বজিৎ ঘোষ বলেন, “বাজি বিক্রি বন্ধ করতে এ বার আমরা লাগাতার অভিযান চালিয়েছি। প্রচুর পরিমাণ বাজি বাজেয়াপ্ত এবং কারবারিদের গ্রেফতার করা হয়েছে।” তার পরেও নানা এলাকায় বাজি পুড়ল কেন? রাতেই জেলাশাসক পার্থ ঘোষ বলেন, “আমার কানেও বাজির শব্দ আসছে। পুলিশকে বলেছি দেখতে।”

Kali Puja crackers
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy