জঙ্গিপুর আদালতে গণ্ডগোলের পরে তোলা নিজস্ব চিত্র।
দূরদুরান্ত থেকে আসা বিচারপ্রার্থীদের সামনে রীতিমতো তাণ্ডব চলল জঙ্গিপুর আদালতে। বৃহস্পতিবার দুপুরে আদালত চত্বরে আইনজীবীদের সঙ্গে ল’ক্লার্কদের বচসা, হাতাহাতি, ভাঙচুরের শেষে আদালতের কাজ যখন শুরু হল তখন অনেকটাই দেরি হয়ে গিয়েছে। এবং যথারীতি দুর্ভোগে পড়লেন সেই বিচারপ্রার্থীরাই।
বিচারপ্রার্থীদের ক্ষোভ, নানা অজুহাতে আদালতে কাজ বন্ধ এখন প্রায় রুটিন হয়ে গিয়েছে। তবে আইনজীবীদের সঙ্গে ল’ক্লার্কদের এমন গণ্ডগোলেও যে তাঁদের বিপাকে পড়তে হবে তা ভাবতে পারেননি বিচারপ্রার্থীরা। কী ঘটেছিল এ দিন?
আইনজীবীদের অভিযোগ, বুধবার একটি মামলার সূত্রে আদালতের এক প্রবীণ আইনজীবী গিয়েছিলেন এক ল’ক্লার্কের সঙ্গে কথা বলতে। ওই প্রবীণ আইনজীবী মুক্তা ঘোষালের অভিযোগ, ‘‘কয়েকজন ল’ক্লার্ক আমার সঙ্গে অত্যন্ত দুর্ব্যবহার করেন। প্রতিবাদ করলে তাঁরা আমাকে মারধর ও গালিগালাজ করেন।’’
জঙ্গিপুর বার অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মকিতুল হাসান বলেন, ‘‘ওই প্রবীণ আইনজীবীকে হেনস্থার ঘটনায় বৃহস্পতিবার বারের সদস্যরা বৈঠকে বসেন। এ দিন ল’ক্লার্কসদের কাছে ঘটনার প্রতিবাদ জানানো হয়। আদালতের যে ঘর জবরদখল করে ল’ক্লার্কসরা তাঁদের অফিস চালাচ্ছিলেন সেই ঘরে তালা মেরে দেওয়া হয়। তবে ঘরের আসবাবপত্র ভাঙচুর করা হয়নি।’’
জঙ্গিপুর আদালতে ১৩৮ জন ল’ক্লার্কস আছেন। সংগঠনের সম্পাদক নীলেন্দু বিকাশ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‘বুধবার আমাদের অফিসে এসে ওই প্রবীণ আইনজীবী প্রথমে গালিগালাজ করেন। পরে এক ল’ ক্লার্ককে মারধরও করেন। আমরা তার প্রতিবাদ করলে উত্তেজনার বশে দু’পক্ষই কিছু আপত্তিকর কথাবার্তা বলেন। পরে বিষয়টি মিটেও যায়।’’
তাঁর অভিযোগ, বৃহস্পতিবার হঠাৎ কয়েকজন আইনজীবী তাঁদের অফিসে ঢুকে ল’ক্লার্কদের উপর চড়াও হয়ে মারধর করেন। অফিসের সমস্ত আসবাবপত্র ভাঙচুর করে ঘরের বাইরে বের করে ছুড়ে ফেলে দেন। পরে অফিস ঘরেও তালা মেরে দেওয়া হয়। আদালতে উপস্থিত লোকজন এই ঘটনা নিজে চোখে দেখেছেন। বিকাশবাবুর দাবি, ‘‘আদালতের ওই ঘর বিচারকের অনুমতি নিয়েই আমরা অফিস ঘর হিসেবে ব্যবহার করছি।’’ এ দিনের ওই ঘটনায় আদালতে পুলিশ ফাইল শুরু বেলা ৩টের পরে।
এ দিন কোনও পক্ষই পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করেনি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy