ঢেউ খেলছে বৃষ্টির জল। —নিজস্ব চিত্র
টানা বৃষ্টিতে জলে ভাসল ধুলিয়ান। ২১ ওয়ার্ডের শহরে বহু এলাকা সোমবার সন্ধ্যে পর্যন্ত জলে ডুবেছিল। সমশেরগঞ্জ থানা, পুরসভা, স্কুল জলে ডুবে যায়। তবে স্কুল ছুটি থাকায় পড়ুয়ারা রেহাই পায়। এ দিকে, জমা জল কি ভাবে সরানো হবে তা নিয়ে নিশ্চিত করে কিছু বলতে পারেনি পুর কর্তৃপক্ষ।
রাজ্যের অন্যত্র কমবেশি বৃষ্টি হলেও ধুলিয়ানে এ বছর তেমন বৃষ্টি হয়নি। কিন্তু এক রাতের কয়েক ঘণ্টার বৃষ্টিতে বানভাসি অবস্থা শহরের। ধুলিয়ানের পুরপ্রধান সুবল সাহা বলেন, “কোনও ওয়ার্ডেই সেই অর্থে কোনও নিকাশিনালা নেই। জল বের করতে অন্তত ৪০টি পাম্প লাগবে। কিন্তু এত পাম্প জোগাড় করা যায়নি। তাই এখনই সব এলাকা থেকে জল সরানোর কোনও উপায় নেই।’’
তিনি জানান, ধুলিয়ান কচ্ছপের উল্টো পিঠের মতো। চারিদিক উঁচু, আর শহরের মাঝের অংশটা নিচু। কাজেই শহরের জল নিকাশি ব্যবস্থা ঢেলে সাজাতে গেলে অনেক টাকার ধাক্কা। চটজলদি এর কোনও
সমধানও নেই।
জল ডুবে থাকার ঘটনা ধুলিয়ানে নতুন কিছু নয়। তবে আগে বৃষ্টি হলে তা আশাপাশের ফাঁকা জায়গায় গড়িয়ে যেত। ফলে জল সরতে বেশি সময় লাগত না। এখন শহর লাগোয়া সেই সব জায়গায় ঘনবসতি গড়ে উঠেছে। ফলে জল বের হতে
পারছে না।
শহরের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা বৃদ্ধ আমিন শেখ বলেন, “এক রাতে এত বৃষ্টি হবে ভাবতে পারিনি। এর আগেও বৃষ্টির জলে ডুবে থাকার অভিজ্ঞতা আছে। কিন্তু তখন পাম্প বসিয়ে জমা জল তাড়াতাড়ি তুলে ফেলা হত। এখন তা হচ্ছে কই? তাঁর আরও অভিযোগ, পুরসভা থেকে আগে ব্লিচিং পাউডার ছড়ানো হত। এখন সেটুকুও করা হচ্ছে না।
তবে কংগ্রেস নেতা নুরুল খান বলছেন, “গঙ্গায় জলে টান থাকায় দ্রুত জল নামছে। তবে ফের বৃষ্টি হলে সমস্যা বাড়বে।’’ একই কথা জানান, হাতিচিত্রা মসজিদের ইমাম মৌলানা কারি আব্দুর রহিম। তিনি বলেন, “ইদগাহে জমা জল ও কাদার জন্য নমাজ পড়া নিয়ে সমস্যা হতে পারে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy