মা সারদা দাসের সঙ্গে অরুণাভ ও অভিষেক। নিজস্ব চিত্র
মাধ্যমিক পরীক্ষায় ৬৮২ নম্বর পেয়ে জেলার মধ্যে সম্ভাব্য প্রথম স্থান অধিকার করেছে কান্দির অরুণাভ দাস। ৬৮০ পেয়ে জেলার মধ্যে সম্ভাব্য দ্বিতীয় স্থান অধিকার করেছে তারই যমজ ভাই অভিষেক। দু’জনের যমজ ভাই। কান্দির ছাতিনাকান্দি দাস পরিবারে সকাল থেকেই তাই খুশির হাওয়া।
দু’ভাই কান্দি রাজ উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাত্র। অরুণাভের কথায়, “রাজ্যের মধ্যে দশম স্থানে থাকাব এমনটা আশা করেছিলাম। কিন্তু...” মুখের কথা কেড়ে নিয়ে অভিষেক জানায়, “হ্যাঁ..., হ্যাঁ। আমিও সেটাই বলছি।” তবে তাদের মা সারদা খুশি ছেলেদের ফলে।
পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, দু’ভাইয়ের জন্মের সময়ের পার্থক্য মাত্র এক মিনিটের। পড়াশোনার ক্ষেত্রেও দুই-এক নম্বরের ফারাক থেকে গিয়েছে। প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকেই তারা বার্ষিক ফলাফলের ফারাক মাত্র এক অথবা দুই নম্বরের। উচ্চ বিদ্যালয়ে পড়াশোনা করার সময়েও দু’ভাইয়ের মধ্যে কেউ প্রথম স্থান অধিকার করে এসেছে।
রাজ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ভূমানন্দ সিংহ বলেন, “দু’ভাইয়ের মধ্যে পড়াশোনা করার যে নেশা, সেটা সব সময় দেখতে পেয়েছি। আমরা আশা করেছিলাম রাজ্যের প্রথম দশের মধ্যে ওদের দেখা যাবে। কিন্তু সেটা না হলেও আমরা হতাশ হইনি। কারণ এক বা দুই নম্বরের ফারাকটা তেমন কিছু নয়। আমরা এই ফলেই খুশি।”
দু’জনেই ক্রিকেট খেলা ও ছবি আঁকা পছন্দ করে। অরুণাভ বলে, “অভিষেকও বেশি পেতে পারত। আমি বড় হয়ে চিকিৎসক হতে চাই।’’ অভিষেক বলে, “আমিও চিকিৎসক হতে চাই। অরুণাভ দু’নম্বর বেশি পেয়েছে। সেটা হতেই পারে।”
দু’জনেরই কথায়, “বাড়ির মধ্যে প্রতিযোগী থাকায় সুবিধা হয়েছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy