Advertisement
১৪ অক্টোবর ২০২৪
Heavy rainfall

জমা জল ঢুকেছে ঘর থেকে তাঁত কারখানায়

রানাঘাট-১ ব্লকের রামনগর-১ গ্রাম পঞ্চায়েতের কবিরাজ প্লট, বিলের মাঠ, কর্মকার পাড়া ও নয় বিঘা এলাকায় কয়েক হাজার হাজার পরিবারের বসবাস।

জলমগ্ন রামনগর-১ পঞ্চায়েতের বিভিন্ন এলাকা। সোমবার।

জলমগ্ন রামনগর-১ পঞ্চায়েতের বিভিন্ন এলাকা। সোমবার। ছবি: সুদেব দাস।

নিজস্ব সংবাদদাতা
রানাঘাট শেষ আপডেট: ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ০৯:১৫
Share: Save:

শুক্রবার থেকে শুরু হওয়া বৃষ্টিতে জলমগ্ন হয়ে পড়েছে রামনগর-১ গ্রাম পঞ্চায়েতের বিস্তীর্ণ এলাকা। কোথাও রাস্তায় জমে রয়েছে হাঁটু জল। কোথাও আবার সেই জল যন্ত্রচালিত তাঁত কারখানা কিংবা বাড়ির হেঁসেলে ঢুকে গিয়েছে। অভিযোগ, বারবার প্রশাসনকে জানিয়ে সমাধান মেলেনি নিকাশি সমস্যার। স্বভাবতই প্রশ্ন উঠছে, শেষ তিন বছরে এই সমস্যার কারণে বারবার জাতীয় সড়ক অবরোধ করেছিলেন স্থানীয় বাসিন্দারা। গত অগস্ট মাসের ৩ তারিখেও হয়েছিল পথ অবরোধ। তা সত্ত্বেও কেন উপযুক্ত ব্যবস্থা নিচ্ছে না প্রশাসন?

রানাঘাট-১ ব্লকের রামনগর-১ গ্রাম পঞ্চায়েতের কবিরাজ প্লট, বিলের মাঠ, কর্মকার পাড়া ও নয় বিঘা এলাকায় কয়েক হাজার হাজার পরিবারের বসবাস। বর্ষা এলেই ওই সকল এলাকা জলমগ্ন হয়ে পড়ে। কয়েক দিনের টানা বৃষ্টিতে কার্যত বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। বাসিন্দাদের অভিযোগ, এলাকার পাশ দিয়ে গিয়েছে ১২ নম্বর জাতীয় সড়ক। বর্তমানে সেই সড়ক সম্প্রসারিত হয়েছে। সেই জন্য বুজিয়ে ফেলা হয়েছে নয়নজুলি ও খাল। ওই খালের মাধ্যমেই আগে এলাকার নিকাশির জল চূর্ণী নদীতে গিয়ে মিশত। খাল বুজিয়ে ফেলার কারণে এলাকার জল অন্যত্র সরতে পারছে না। এতেই তৈরি হয়েছে বন্যা পরিস্থিতি। সোমবার দেখা গেল, কোথাও জমে আছে হাঁটু জল। কোথাও আবার বসতবাড়ির ভিতরে ঢুকে এসেছে জমা জল। তার মধ্যেই কোনও মতে দিন কাটাচ্ছে প্রায় ৩০০ পরিবার। অভিযোগ, এর জেরে ব্যাহত হচ্ছে তাঁদের দৈনন্দিন কাজকর্ম। বিলের মাঠ এলাকার বাসিন্দা মমতা বসাক বলেন, ‘‘সমস্যা দুই-এক দিনের নয়। মাসের মাস আমরা জলমগ্ন অবস্থায় রয়েছি। বাজার, স্কুলে যাওয়া সবই বন্ধ। সাপ, পোকামাকড়ের উপদ্রব বেড়েছে। প্রশাসন উদাসীন।’’

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে এলাকায় একাধিক ছোট-বড় যন্ত্রচালিত তাঁত কারখানা রয়েছে। বৃষ্টির জমা জল ওই কারখানাতেও ঢুকে গিয়েছে। কর্মী বাদল দত্ত বলেন, ‘‘সামনে পুজোর মরসুম। অথচ, তাঁত কারখানায় জল জমে থাকার কারণে কাজ করা যাচ্ছে না।’’ পঞ্চায়েতের উপপ্রধান শিবু মণ্ডল বলেন, ‘‘সমস্যার কথা আমরা সংশ্লিষ্ট দফতরে আগেই জানিয়েছিলাম। জাতীয় সড়ক সম্প্রসারণের জন্যই এই সমস্যা তৈরি হয়েছে। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ ব্যবস্থা না নেওয়ার কারণেই সমস্যা মিটছে না।’’

আর রানাঘাট-১ বিডিও জয়দেব মণ্ডল বলেন, ‘‘জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আমাদের একাধিক বার কথা হয়েছে। জেলা প্রশাসনের তরফেও বিষয়টি সড়ক কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। নিকাশি সমস্যা মেটাতে তাঁদেরই কাজ করে দেওয়র কথা। আমাদের তরফে প্রাথমিক কাজ করা হলেও তাতে সমস্যা মিটছে না।’’

জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষের প্রকল্প আধিকারিকের প্রতিক্রিয়া মেলেনি।

অন্য বিষয়গুলি:

Nadia
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE