ধর্নায় কাকলী। নিজস্ব চিত্র
মেরেধরে তাঁকে বাপের বাড়ি পাঠানো হয়েছিল বলে অভিযোগ। দশ মাসের মধ্যেও ফেরত নেননি স্বামী। বারবার অনুরোধ করেও লাভ হয়নি। ডিভোর্সের নোটিসও পাঠান স্বামী। শেষে প্রতিবাদে শ্বশুরবাড়ির বারান্দায় ধর্নায় বসলেন কাকলী হালদার।
তখনও শ্বশুরবাড়ির লোক তাঁকে মারতে শুরু করেন বলে অভিযোগ। তাঁকে এ ভাবে নির্যাতিত হতে দেখে এগিয়ে আসেন আশপাশের মানুষ। বেগতিক বুঝে তখন স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির অন্যরা দরজায় তালা ঝুলিয়ে পালিয়ে যান। কাকলীদেবী এ দিন বিকেলে ধুবুলিয়া থানায় গিয়ে পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করেছে।
পুলিশ সূত্রের খবর, বছর তিনেক আগে ধুবুলিয়ার ৬ নম্বর কলোনির বাসিন্দা পেশায় স্বর্ণশিল্পী তারক হালদারের সঙ্গে বিয়ে হয় ভক্তনগরের বাসিন্দা কাকলীর। কিন্তু বিয়ের পর থেকেই তাঁর উপরে নির্যাতন শুরু হয় বলে অভিযোগ। দশ মাস তাঁকে বাপের বাড়ি ফেলে রাখার পর সম্প্রতি ডিভোর্সের নোটিস পাঠানো হয়। বাধ্য হয়েই বৃহস্পতিবার সকালে তিনি শ্বশুরবাড়ির সামনে ধর্নায় বসেন।
কাকলীর কথায়, “আমার বাবা খুব গরিব। অনেক কষ্ট বিয়ে দিয়েছেন। এ ভাবে সব শেষ বলে দিলেই তো আর শেষ হয়ে যায় না। আমি সংসার করতে চাই।” এই ঘটনা মেনে নিতে পারছেন না প্রতিবেশীরাও। অনেকেই তাঁর পাশে এসে দাঁড়িয়েছেন।
তাঁদেরই এক জন মানবেন্দ্র বসু বলছেন, “আমরা প্রথম থেকেই এ ভাবে মেয়েটির উপরে অত্যাচার চালানোর আপত্তি করেছিলাম। এখনও মেয়েটির পাশে আছি। আমরাও চাই যে, সে শান্তিতে সংসার করুক।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy