ছেলের সবে মাধ্যমিক শেষ হয়েছে। তাকে সঙ্গে নিয়েই মা হাঁটা দিয়েছিলেন প্রেমিকের হাত ধরে।
শনিবার মুর্শিদাবাদের নওদায় দুধসর ও সোনাটিকুরি গ্রাম লাগোয়া মাঠে থেকে পাওয়া গেল মহিলার মৃতদেহ। পুলিশ জানায়, মৃতার নাম সুমিত্রা গায়েন (৩৫)। বাড়ি উত্তর ২৪ পরগনার হিঙ্গলগঞ্জের হেমনগরে। গলায় কাপড়ের ফাঁস দিয়ে তাঁকে খুন করা হয়েছে বলে প্রাথমিক তদন্তের পরে পুলিশের অনুমান। তাঁর ছেলে মৃত্যুঞ্জয় পালিয়ে বেঁচেছে। রাত পর্যন্ত আততায়ীর খোঁজ মেলেনি। পুলিশ গোটা বয়ানটাই জেনেছে মৃত্যুঞ্জয়ের থেকে। ছেলেটির দাবি, তাকেও খুনের চেষ্টা হয়েছিল। বরাত জোরে বেঁচে যায়। তার পরে সারা রাত সে মাঠেই কাটিয়েছে। জেরায় সে বলে, তার বাবা বিহারে কাজ করেন। বাড়ি আসার সুযোগ বিশেষ পান না। ‘আশিক’ নামে এক যুবক গ্রামে কাজ করতে আসে। তার সঙ্গেই সুমিত্রার সম্পর্ক গড়ে ওঠে। বিয়ে করবে বলে প্রতিশ্রুতি দিয়ে সে মা-ছেলেকে ট্রেনে চাপিয়ে বেলডাঙা হয়ে নওদায় নিয়ে আসে। টোটোয় চাপিয়ে তাঁদের ছাগলখালি মাঠে নিয়ে আসা হয়। তাঁরা ভেবেছিলেন, সে তাঁদের তার বাড়িতে নিয়ে যাচ্ছে। ওই মাঠে বেশ কয়েকটি খুন হয়েছে। সেখান থেকে নদিয়ার থানারপাড়া হয়ে পালানো খুবই সহজ। পুলিশের ধারণা, স্থানীয় কেউ এই খুনে যুক্ত। তবে ‘আশিক’ নামটি সত্যি না-ও হতে পারে। তার ঠিকানাও মৃত্যুঞ্জয় বলতে পারেনি। পুলিশ জানায়, সব সম্ভাবনা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy