বছর আটেকের এক বালিকাকে ধর্ষণ করে খুনের অভিযোগে দুই ব্যক্তির বিরুদ্ধে পুলিশ ৫৮ দিনের মাথায় চার্জশিট জমা দিয়েছিল। কিন্তু দুই অভিযুক্তই জামিন পেয়ে গিয়েছেন। ওই বালিকার বাড়ির লোকের দাবি, সরকারি আইনজীবীর গাফিলতির কারণেই অভিযুক্তেরা ছাড়া পেয়ে গিয়েছেন।
এ ব্যাপারে তাঁরা কৃষ্ণনগর জেলা আদালতে একটি আবেদনও দাখিল করেছেন। ওই সরকারি আইনজীবী অবশ্য দাবি করেছেন, এ ব্যাপারে তাঁর কোনও গাফিলতি নেই।
পুলিশ ও আদালত সূত্রে জানা গিয়েছে, নদিয়ার পলাশির বিবেকানন্দপল্লির বাসিন্দা ওই বালিকা ১৯ ফেব্রুয়ারি থেকে নিখোঁজ ছিল। ২১ ফেব্রুয়ারি তার দেহ পাওয়া যায়। বিবেকানন্দপল্লিতে দাদুর বাড়িতে থাকত ওই বালিকা। পারিবারিক আক্রোশবশত এলাকারই বাসিন্দা সাধন ঘোষ ও বীরভূমের পাড়ুইয়ের বাসিন্দা আলি মহম্মদ শেখ ওই শিশুটিকে ধর্ষণের পরে শ্বাসরোধ করে খুন করে বলে অভিযোগ। সেই মর্মে কালীগঞ্জ থানায় শিশুটির বাড়ির লোকজন অভিযোগও দায়ের করেন। ওই মামলার তদন্তকারী আধিকারিক হিসেবে নিযুক্ত হন কালীগঞ্জের ওসি। পুলিশের দাবি, জেলা আদালতের চার্জশিট জমাও দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু সেই চার্জশিট বিচারকের এজলাসে জমা পড়েনি বলে ওই বালিকার পরিবারের লোকজনের দাবি।
বালিকার দাদুর দাবি, “বিচারকের এজলাসে চার্জশিট জমা পড়েনি বলেই অভিযুক্তেরা জামিন পেয়ে গেল। চার্জশিট জমা না পড়ার পিছনে সরকারি আইনজীবীর হাত রয়েছে।” সরকারি আইনজীবী অবশ্য দাবি করেন, “এ ব্যাপারে আমার কোনও ভূমিকাই নেই। চার্জশিট জমা দেয় পুলিশ। আমার হাতে তা দেওয়া হয়নি।” নাকাশিপাড়ার সিআই সঞ্জীবকুমার দে বলেন, “আমরা ৫৮ দিনের মাথায় চার্জশিট জমা দিয়েছিলাম। তারপরে তা কেন বিচারকের কাছে পৌঁছয়নি, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy