করিমপুর ১ ব্লকের পিপুলবেড়িয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের পাকশি গ্রামের দুটি বুথের প্রায় ১২০০ সিপিএম কর্মী-সমর্থক মঙ্গলবার বিজেপিতে যোগ দিলেন। রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসের অত্যাচারের হাত থেকে বাঁচতেই ভারত বাংলাদেশ সীমান্তের তারকাটাঘেঁষা ওই গ্রামের সিপিএমের কর্মী-সমর্থকরা বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন সদ্য দলত্যাগীরা। গ্রামের আনিসুর রহমান, জয়নাল শেখ, লিটন শেখ, রাজ্জাক মণ্ডল, তসলিমা বিবি, ইয়াসমিন বিবি, বিপ্লব মোল্লারা সমস্বরে বলছেন, “গ্রামের প্রায় সকলেই সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের। আমরা দীর্ঘ দিন ধরে সিপিএম সমর্থক ছিলাম। কিন্তু রাজ্যে নতুন সরকার আসার পর থেকেই শাসক দলের লোকজন আমাদের বাড়ি ঘর ভেঙে দিচ্ছে। থানায় গেলে পুলিস অভিযোগ নিচ্ছে না। আমাদের আগেই তৃণমূলের নেতারা থানায় গিয়ে বসে থাকছে। বিনা দোষে আমাদের ছেলেদের পুলিশ ধরে নিয়ে যাচ্ছে। নিরাপত্তা দেওয়ার কেউ নেই। সিপিএম নামে দলটার এখন কোনও অস্তিত্ব আচে কিনা সেটাই তো বুঝতে পারছি না। সেই কারণেই আমরা এদিন বিজেপিতে যোগ দিয়েছি।” মঙ্গলবার বিকেলে পাকশি গ্রামে ওই দলবদল অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিজেপির নদিয়া জেলা সভাপতি কল্যাণ নন্দী, করিমপুর ১ ব্লক সভাপতি সুভাষ মুখোপাধ্যায়, নদিয়া জেলার সহ সভানেত্রী অজিতা রায়, বিজেপির সংখ্যালঘু মোর্চার সভাপতি মহম্মদ মারফত আলি শেখ। কল্যাণবাবু বলেন, “বিভিন্ন রাজনৈতিক দল নিজেদের স্বার্থে বিজেপিকে সাম্প্রদায়িক দল বলতো। তাদের সেই অপপ্রচার যে ভুল তা আজ মানুষ বুঝেছে। তাই সীমান্ত এলাকার সমস্ত সম্প্রদায়ের মানুষ দলে দলে বিজেপিতে যোগ দিচ্ছেন।” করিমপুরের বিধায়ক সিপিএমের সমরেন্দ্রনাথ ঘোষ বলেন, “পাকশিতে সিপিএম ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেওয়ার খবর আমার জানা নেই। তবে কিছু কিছু এলাকায় শাসক দলের তীব্র অত্যাচারে বাধ্য হয়ে সিপিএমের কেউ কেউ বিজেপিতে যোগ দিচ্ছেন।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy