কলেজের মধ্যে ‘দাদাগিরি’র অভিযোগ উঠেছে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের বিরুদ্ধে। সোমবার দুপুরে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের বহিরাগতরা বহরমপুর কৃষ্ণনাথ কলেজের মধ্যে ঢুকে ছাত্র পরিষদের সদস্য-ছাত্রদের উপরে চড়াও হয় বলে অভিযোগ। দু’পক্ষের ওই গণ্ডগোলের জেরে অশান্ত হয়ে ওঠে কলেজ চত্বর। পরে কলেজ অধ্যক্ষের নির্দেশে বহরমপুর থানার পুলিশ কলেজের মধ্যে ঢুকে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। অভিযোগ, অধ্যক্ষের ঘরে পুলিশের উপস্থিতিতে গোটা বিষয়টি মিটে যাওয়ার পরে কলেজ থেকে বের হতেই ফের ছাত্র পরিষদের সদস্যদের উপরে লাঠি-রড-উইকেট নিয়ে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের বহিরাগতরা চড়াও হয়। পরে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের ১০ জনের বিরুদ্ধে বহরমপুর থানায় লিখিত অভিযোগও দায়ের করে ছাত্র পরিষদ। কলেজ অধ্যক্ষ কল্যাণাক্ষ ঘোষ বলেন, “কলেজ ছাত্র সংসদ কার্যালয়ের মধ্যে বহিরাগতরা বসে আছে বলে প্রথমে অভিযোগ পাই। পরে কলেজের এক জন ছাত্রকে টানতে টানতে বাইরে নিয়ে যাওয়ার খবর পেয়ে আমি সেখানে যাই। তখনই দু’পক্ষের মধ্যে ধস্তাধস্তি এবং হাতাহাতি দেখে পরিস্থিতি শান্ত করতে বাধ্য হয়ে বহরমপুর থানার পুলিশকে বিষয়টি জানাই। পরে পুলিশের উপস্থিতিতে দু’পক্ষের মধ্যে মীমাংসাও হয়। পরে কলেজের বাইরে ঠিক কী হয়েছে আমার জানা নেই।”
কলেজে প্রথম বর্ষে ভর্তি করে দেওয়ার নামে সাধারণ এক জন ছাত্রের কাছ থেকে টাকা নেওয়ার অভিযোগ ও পাল্টা অভিযোগ ওঠে তৃণমূল ছাত্রপরিষদ ও ছাত্রপরিষদের বিরুদ্ধে। দু’পক্ষই অবশ্য ওই অভিযোগ অস্বীকার করেছে। ছাত্র পরিষদের জেলা সভাপতি সরফরাজ শেখ রুবেল বলেন, “তৃণমূল ছাত্র পরিষদের এক সদস্য কলেজে প্রথম বর্ষে ভর্তি করে দেওয়ার নামে এক জনের কাছ থেকে ২০ হাজার টাকা নেয়। পরে বিষয়টি জানাজানি হয়ে যায়। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে তৃণমূল ছাত্রপরিষদের বহিরাগতরা কলেজের মধ্যে ঢুকে এ দিন ছাত্র পরিষদের সদস্যদের মারধর শুরু করে।” তিনি জানান, সেই সময়ে বাধা দিতে গেলে ছাত্র পরিষদের মহিলা সদস্যরা হেনস্থা হন। বিষয়টি জানিয়ে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের ১০ জনের বিরুদ্ধে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।”
তৃণমূল ছাত্র পরিষদের জেলা সভাপতি রাজা ঘোষ বলেন, “ছাত্র পরিষদের এক নেতা দীর্ঘ দিন ধরেই ছাত্র ভর্তির নামে সাধারণ ছাত্রছাত্রীদের কাছ থেকে টাকা আদায় করছে। অর্থের বিনিময়ে কলেজে ভর্তি করে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিলে এ দিন সাধারণ এক জন ছাত্র ১৪ হাজার টাকা নিয়ে কলেজে দেখা করতে আসে। তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সদস্যরা ওই ছাত্রটিকে জিজ্ঞাসাবাদ করে গোটা ঘটনাটি জানতে পেরে।” তিনি জানান, বিষয়টি জানাজানি হয়ে যাওয়ার আশঙ্কায় ছাত্র পরিষদের সদস্যরা চড়াও হয়। পরে থানায় গিয়ে ছাত্র পরিষদের সদস্যরা মিথ্যা অভিযোগ দায়ের করেছে।
পুলিশ জানিয়েছে, ওই ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy