মুর্শিদাবাদ জেলার পর্যবেক্ষক হওয়ার পর এক রুদ্ধদ্বার বৈঠকে জেলা কমিটি ভেঙে দিয়েছিলেন ইন্দ্রনীল সেন। মাস চারেকের টানাপোড়েনের পর বুধবার মুর্শিদাবাদের নতুন জেলা সভাপতি মান্নান হোসেনের নেতৃত্বে নতুন জেলা কমিটি গঠন হল অবশেষে। মান্নান হোসেন-সহ নতুন জেলা কমিটির সদস্য সংখ্যা ৯১। জেলা কমিটির কার্যনির্বাহী সভাপতি করা হয়েছে উজ্জ্বল মণ্ডলকে।
গত লোকসভা নির্বাচনে বহরমপুর প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে পরাজিত হন তৃণমূলের গায়ক প্রার্থী ইন্দ্রনীল সেন। ওই পরাজয়ের পর দলের তরফে ইন্দ্রনীলকে মুর্শিদাবাদ জেলার পর্যবেক্ষক করা হয়। পর্যবেক্ষক হওয়ার পরই গত ১০ জুলাই বহরমপুরে সিরাজবাগে দলের জেলা কমিটিকে নিয়ে রুদ্ধদ্বার বৈঠক করেন ইন্দ্রনীল সেন। ওই বৈঠকে তিনি জেলা কমিটি ভেঙে দিয়ে ৩টি লোকসভা কেন্দ্রের জন্য ৩ জন সভাপতি নিয়োগ করেন। জঙ্গিপুর লোকসভার সভাপতি হন বিধায়ক ইমানি বিশ্বাস, মুর্শিদাবাদ লোকসভার সভাপতি করা হয় পরিষদীয় সচিব চাঁদ মহম্মদকে, বহরমপুর কেন্দ্রের সভাপতি করা হয় সুবোধ দাসকে। ওই ৩ জনকে ৩টি লোকসভা কেন্দ্রের সভাপতি করা হলেও ১০ জুলাই-এর পর থেকে জেলা কমিটি বা ব্লক কমিটি কিছুই ছিল না।
ইতিমধ্যে কংগ্রেস ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দেন প্রাক্তন সাংসদ মান্নান হোসেন। তারপর তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধায় মান্নান হোসেনের হাতে মুর্শিদাবাদ জেলার তুলে দেন। দায়িত্ব পেয়েই ঘুঁটি সাজাতে শুরু করেন মান্নান হোসেন। তবে, কোনও বিরোধে যাননি তিনি। বরং মিলেমিশেই তৈরি করেছেন নতুন জেলা কমিটি। বিধায়ক ইমানি বিশ্বাস, চাঁদ মহম্মদ ও সুবোধ দাসকে ৩টি লোকসভা কেন্দ্রের আহ্বায়ক করে গঠিত নতুন জেলা কমিটিতে রয়েছেন প্রাক্তন মন্ত্রী হুমায়ুন কবীর-সহ ১১ জন সহ-সভাপতি, ৬ জন সাধারণ সম্পাদক, ২৪ জন সম্পাদক। প্রাক্তন মন্ত্রী তথা সাগরদিঘির বিধায়ক সুব্রত সাহা ও মান্নান পুত্র সৌমিক হোসেন-সহ মোট ৩ জনকে জেলা কমিটির বিশেষ আমন্ত্রিত সদস্য করা হয়েছে। এ ছাড়াও জেলা কমিটির স্থায়ী সদস্য হিসাবে রয়েছে দলের ৩৬টি ব্লক সভাপতি এবং ৫টি শাখা সংগঠনের ৫ জন জেলা সভাপতি। মান্নান হোসেন বলেন, “এ দিন জেলা কমিটি ছাড়াও ৩৬টি ব্লকের সভাপতি ও কার্যনির্বাহী সভাপতির নাম ঘোষণা করা হয়েছে। সকলকে নিয়েই কাজ করতে চাই। নিজেদের মধ্যে বিরোধ বাধালে দলেরই ক্ষতি।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy