Advertisement
E-Paper

দিনভর সংঘর্ষে উত্তপ্ত ভরতপুর

জুয়ার আসর থেকে অভিযুক্তদের গ্রেফতার করার ঘটনায় কংগ্রেস ও তৃণমূলের মধ্যে সংঘর্ষে দিনভর উত্তেজনা ছড়াল ভরতপুরের সৈয়দকুলুট গ্রামে। মঙ্গলবারের ওই ঘটনায় গোলমহম্মদ শেখ নামে এক কংগ্রেস পঞ্চায়েত সদস্য আহত হন। সংঘর্ষ থামাতে গিয়ে জখম হন কয়েক জন পুলিশকর্মীও। অভিযোগ তৃণমূলের সমর্থকদের ছোড়া ইঁটের আঘাতে পুলিশের গাড়ির কাঁচও ভেঙে যায়।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১১ মার্চ ২০১৫ ০০:৫৯

জুয়ার আসর থেকে অভিযুক্তদের গ্রেফতার করার ঘটনায় কংগ্রেস ও তৃণমূলের মধ্যে সংঘর্ষে দিনভর উত্তেজনা ছড়াল ভরতপুরের সৈয়দকুলুট গ্রামে। মঙ্গলবারের ওই ঘটনায় গোলমহম্মদ শেখ নামে এক কংগ্রেস পঞ্চায়েত সদস্য আহত হন। সংঘর্ষ থামাতে গিয়ে জখম হন কয়েক জন পুলিশকর্মীও। অভিযোগ তৃণমূলের সমর্থকদের ছোড়া ইঁটের আঘাতে পুলিশের গাড়ির কাঁচও ভেঙে যায়।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, গত রবিবার রাতে ওই গ্রামে জুয়ার আসর বসার খবর পেয়ে ভরতপুর থানার পুলিশ গ্রামে গিয়ে চারজনকে গ্রেফতার করার পাশাপাশি প্রায় সাড়ে চার হাজার টাকা বাজেয়াপ্ত করে। গ্রেফতার হওয়া ওই চারজন তৃণমূলের সমর্থক বলে দাবি স্থানীয় বাসিন্দাদের। সোমবার ওই চারজনকে কান্দি মহকুমা আদালতে তোলা হলে ধৃত ওই চারজন জামিন পান। মঙ্গলবার সকালে এলাকার গ্রাম পঞ্চায়েত সদস্য কংগ্রেসের গোলমহম্মদ শেখকে এলাকায় দেখতে পেয়ে ওই চার তৃণমূল সমর্থক তাঁর উপর চড়াও হয়। তৃণমূল সমর্থকদের দাবি এলাকায় জুয়ার আসর চলছে সেই খবর পুলিশের কাছে দিয়েছে ওই পঞ্চায়েত সদস্য। উভয় পক্ষের মধ্যে প্রথমে বচসা পরে হাতাহাতিতে গড়ায়। ওই এলাকায় কংগ্রেস ও তৃণমূলের মধ্যে সংঘর্ষের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ যেতেই পুলিশের গাড়ি লক্ষ করে তৃণমূল সমর্থকরা ইঁট ছুড়তে শুরু করেন বলে অভিযোগ। ভরতপুর থানার সাব ইন্সপেক্টর মেসের আলি-সহ কয়েক জন পুলিশ কর্মী জখমও হন। তাঁদের ভরতপুর গ্রামীণ হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিত্‌সার পর ছেড়ে দেওয়া হয়। যদিও কান্দির এসডিপিও সন্দীপ সেনের দাবি, কোনও পুলিশকর্মী জখম হননি।

ওই ঘটনার পরে কান্দি মহকুমা কংগ্রেসের সভাপতি দেবাশিস চট্টোপাধ্যায় বলেন, “পুলিশ কোথায় জুয়ার ঠেক বন্ধ করবে, কাকে গ্রেফতার করবে সেটা কংগ্রেস ঠিক করে না। নোংরা রাজনীতি করতে জুয়ার আসরকেও ঢাল করে কংগ্রেসের পঞ্চায়েত সদস্যকে মারধর করেছে তৃণমূল। এটাই তৃণমূলের আসল পরিচয়।” যদিও মুর্শিদাবাদ জেলার তৃণমূলের সভাপতি মান্নান হোসেন বলেন, “জুয়া খেলা ও কাউকে জুয়া খেলতে দেখা দু’টিই সমান অপরাধ। শুধু চারজনকে গ্রেফতার না করে যাঁরা দেখছিলেন তাঁদেরকেও পুলিশের গ্রেফতার করা উচিত ছিল।” তিনি আরও বলেন, “তবে যারা তৃণমূলের নাম ভাঙিয়ে জুয়া খেলা নিয়ে মারপিঠ করছে তাদের চিহ্নিত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

কান্দির এসডিপিও সন্দীপ সেন বলেন, “জুয়ার আসর থেকে কয়েক জনকে গ্রেফতার করায় উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছিল। ওই ঘটনার সাথে রাজনীতির কোন যোগ আছে বলে মনে হয়নি। তবে পুলিশের গাড়ির ভাঙচুরের ঘটনায় অভিযুক্তদের খোঁজ চলছে।”

clash bharatpur tmc-congress
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy