ছাত্র সংসদ নির্বাচন নির্বিঘ্নে মিটে যাওয়ার ২৪ ঘণ্টা পরেও ফল প্রকাশ হল না নদিয়ার হরিণঘাটা কলেজে। মঙ্গলবার জেলার তিনটি কলেজে ছাত্র সংসদের নির্বাচন ছিল। এর মধ্যে চাপড়ার বাঙ্গালঝি ও বেতাইয়ের বি আর অম্বেডকর কলেজে নিরঙ্কুশ জয় পেয়ে গিয়েছে টিএমসিপি সমর্থকরা। কিন্তু বুধবার দুপুর পর্যন্ত হরিণঘাটা কলেজে ফল ঘোষণা হয়নি।
কলেজ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, হরিণঘাটা কলেজের ৪৬টি আসনের মধ্যে ৩৯টি আসনে প্রার্থী দিয়েছিল তৃণমূলেরই দুই গোষ্ঠী। বাকি সাতটি আসনে আগেই বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছে তৃণমূল ছাত্র পরিষদ। মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ দিন পার হওয়ার পর পরিস্থিতি সামাল দিতে ঠিক হয়েছিল আসন ভাগাভাগি করে নেবে দুই পক্ষ। কিন্তু ভোট গণনা শুরু হতে বদলাতে থাকে ছবিটা। যার পরিণতি, বিকাল গড়িয়ে রাত পার হলেও মঙ্গলবার কলেজ ভোটের ফল ঘোষণা করা সম্ভব হয় নি।
সমস্যাটা ঠিক কোথায়? তৃণমূলের এক দলীয় নেতৃত্বের কথায়, “ঠিক হয়েছিল এক গোষ্ঠীর ১৫ জন এবং অপর গোষ্ঠীর সদস্যদের বাকি আসনগুলিতে জয়লাভ করানো হবে। কিন্তু বাস্তবে তা হয়নি। গণনার সময় দেখা যায়, এক গোষ্ঠী জয় পেয়েছে।” আর এই খবর ছড়াতেই শুরু হয় মতবিরোধ। মঙ্গলবার রাতে কলেজ কর্তৃপক্ষ জানান, সেদিনের মতো ফল ঘোষণা সম্ভব হচ্ছে না।
ফল নিয়ে টালবাহানার জন্য অবশ্য তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দলকেই দায়ী করছে অন্যান্য ছাত্র সংগঠন। এসএফআই-এর জেলা সভাপতি কৌশিক দত্ত বলেন, “মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার সময় ওরা আমাদের সদস্যদের মারধর করায় আমরা নির্বাচন থেকে সরে এসেছি। আর শেষে ওদের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে ভোটের ফল প্রকাশই হল না।”
জেলা ছাত্র পরিষদের সভাপতি নিত্যগোপাল মণ্ডল বলেন, “তৃণমূলের জন্য শিক্ষার পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে। ক্ষমতার জন্য নিজেদের মধ্যে লড়াই শুরু করেছে।” অভিযোগ অস্বীকার করে জেলা তৃণমূলের ছাত্র পরিষদের সভাপতি অয়ন দত্ত বলেন, “মিথ্যা অভিযোগ। এই ঘটনার সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক নেই। শুনেছি কলেজের অভ্যন্তরীণ সমস্যায় ফল প্রকাশ সম্ভব হয়নি।”
কলেজের পরিচালন সমিতির সভাপতি রত্না ঘোষ বলেন, “শুনেছি একটা সমস্যা হওয়ায় ফল প্রকাশ সম্ভব হয়নি। এ ব্যাপারে রিপোর্ট চেয়ে পাঠিয়েছি।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy