Advertisement
E-Paper

বৃষ্টির জল জমে দুর্ভোগ, ইদের বাজার নিয়ে চিন্তা

এক পশলা বৃষ্টিতেই জল দাঁড়িয়ে যায় বাজারে। চূড়ান্ত অপরিকল্পিত ভাবে নিকাশি নালা তৈরি হওয়ায় জমা জল বের হতে লেগে যায় কয়েকদিন। তত দিন মন্দা চলে ব্যবসায়। ডোমকল মধ্য বাজারে ফি-বর্ষায় এই একই দুর্ভোগে ক্ষুব্ধ ব্যবসায়ীরা। ইদ এসে যাওয়ায় ব্যবসায়ীদের আশঙ্কা জমা জল ঠেলে ক্রেতারা আদৌ কেনাকাটি করতে আসবেন তো!

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৪ জুলাই ২০১৪ ০০:৪১

এক পশলা বৃষ্টিতেই জল দাঁড়িয়ে যায় বাজারে। চূড়ান্ত অপরিকল্পিত ভাবে নিকাশি নালা তৈরি হওয়ায় জমা জল বের হতে লেগে যায় কয়েকদিন। তত দিন মন্দা চলে ব্যবসায়। ডোমকল মধ্য বাজারে ফি-বর্ষায় এই একই দুর্ভোগে ক্ষুব্ধ ব্যবসায়ীরা। ইদ এসে যাওয়ায় ব্যবসায়ীদের আশঙ্কা জমা জল ঠেলে ক্রেতারা আদৌ কেনাকাটি করতে আসবেন তো!

ডোমকল মধ্য-বাজারের ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, লক্ষ-লক্ষ টাকা ব্যয়ে নিকাশিনালাগুলি তৈরি হলেও তা নিয়মিত সাফাই করার কেউ নেই। আবর্জনা জমে তাই ভরে গিয়েছে নালার গর্ভ। বৃষ্টির জল জমছে বাজারের মধ্যেই। এই অবস্থায় ব্যবসায়ীদের দাবি, পঞ্চায়েত থেকে নিয়মিত নালাগুলি পরিষ্কার করা হোক।

আজিমগঞ্জগোলা গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান কংগ্রেসের আলম খান বলেন, ‘‘আমরা ইতিমধ্যেই ওই এলাকায় শ্রমিক দিয়ে নালা পরিষ্কারের কাজ শুরু করেছি। ইদের আগে কাজ শেষ করা যাবে বলেই মনে হচ্ছে।”

টাকা নয়ছয় করতে কখনও নিচু থেকে উঁচুর দিকে, কখনও বা নয়ানজুলির মধ্য দিয়ে পাকা নালা তৈরির রেওয়াজ আছে ডোমকল জুড়ে। এতে সেই নালা দিয়ে জল গড়ুক বা না-গড়ুক, এক শ্রেণির ঠিকাদার, রাজনীতির কারবারি আর আমলাদের পকেটে জলের মতো টাকা ঢুকেছে বলে অভিযোগ ডোমকলবাসীর। স্থানীয়দের অভিযোগ, ডোমকল এলাকায় এমন অনেক নালা আছে যার কোনও দিনও প্রয়োজনীয়তা ছিল না, ভবিষ্যতেও হবে না। তা ছাড়াও বাজার এলাকায় কিছু গুরুত্বপূর্ণ নালা পরিকল্পনাহীন ভাবে তৈরি হয়েছে। নিয়মিত পরিষ্কার না করার ফলে তাতে জল জমে মশার উপদ্রব বাড়ছে। জমা আবর্জনায় পচন ধরে গন্ধ ছড়াচ্ছে চারদিকে।

বাজারের ব্যবসায়ী মহম্মদ মহফুজুর রহমান বলেন, ‘‘একটা সময় যখন নিকাশি নালা ছিল না, তখন এক রকমের সমস্যা ছিল। জল জমলেও নোংরা হত না। এখন নিকাশি নালাগুলিতে যাবতীয় নোংরা ফেলায় সে সব পচে গন্ধ ছড়াচ্ছে। খোলা নালায় অনেক সময় পড়ে যাচ্ছেন ক্রেতারাও।’’ ডোমকল রবীন্দ্র মোড়ের বস্ত্র-ব্যাবসায়ী ফারুক আহমেদ বলেন, ‘‘কেবল বাজারের ভেতরে নয়, রাজ্য সড়ক লাগোয়া মাছ বাজার থেকে রবীন্দ্রমোড় পর্যন্ত রাস্তায় একটু বৃষ্টি হলেই হাঁটু জল জমছে। ডোমকলে বছরের সবচেয়ে বেশি বেচাকেনা হয়, বিশেষ করে কাপড়ের দোকানে এই ইদের মরসুমে। ফলে পরিস্থিতির পরিবর্তন না হলে আমরা বিপাকে পড়ব। অনেক ক্রেতা বাজারের জল জমা এলাকা মাড়াতে চাইবেন না ইচ্ছে থাকলেও।’’

ডোমকল বাজার ব্যাবসায়ী সমিতির সম্পাদক আফাজুদ্দিন বিশ্বাস বলেন, “আমরা পঞ্চায়েতের কাছে দাবি রেখেছি নালাগুলি পরিষ্কার করা ছাড়াও বাজারে একটি শৌচাগার, রাস্তা থেকে সব্জি বাজার সরিয়ে বিকল্প বাজারের ব্যবস্থা করার।”

পঞ্চায়েতের আশ্বাস মিললেও তাতে ভরসা রাখতে পারছেন না ডোমকলের ব্যবসায়ীরা।

ied domcol
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy