Advertisement
১৭ মে ২০২৪
খুনের অভিযোগ ভগবানগোলায়

বন্ধুর বাড়ি থেকে উদ্ধার যুবকের দেহ

এক যুবকের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হল বন্ধুর বাড়ি থেকে। রবিবার সন্ধ্যার ঘটনা। মৃত ওয়াসিম আখতার ওরফে পিন্টুর (২৮) ভগবানগোলার মহম্মদপুর মাদিয়া গ্রামের বাসিন্দা। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, পিন্টুর বন্ধু সম্রাট শেখ ভগবানগোলা-২ ব্লকের তৃণমূলের কার্যকরী সভাপতি জয়নাল আবেদিনের ছেলে। তাঁদের দীর্ঘদিনের বন্ধুত্ব। কলকাতায় পড়াশোনা করার সময় তাঁরা একসঙ্গে বাড়ি ভাড়া করে থাকতেন। এমনকী মুর্শিদাবাদে ফিরে আসার পরেও তাঁদের পরস্পরের বাড়িতে যাতায়াত ছিল।

নিজস্ব সংবাদদাতা
ভগবানগোলা শেষ আপডেট: ১১ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ ০১:৩৪
Share: Save:

এক যুবকের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হল বন্ধুর বাড়ি থেকে। রবিবার সন্ধ্যার ঘটনা। মৃত ওয়াসিম আখতার ওরফে পিন্টুর (২৮) ভগবানগোলার মহম্মদপুর মাদিয়া গ্রামের বাসিন্দা।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, পিন্টুর বন্ধু সম্রাট শেখ ভগবানগোলা-২ ব্লকের তৃণমূলের কার্যকরী সভাপতি জয়নাল আবেদিনের ছেলে। তাঁদের দীর্ঘদিনের বন্ধুত্ব। কলকাতায় পড়াশোনা করার সময় তাঁরা একসঙ্গে বাড়ি ভাড়া করে থাকতেন। এমনকী মুর্শিদাবাদে ফিরে আসার পরেও তাঁদের পরস্পরের বাড়িতে যাতায়াত ছিল।

সম্রাট জানিয়েছেন, “আমরা হামেশাই একসঙ্গে সময় কাটাতাম। শনিবার আমাদের বাড়ি চলে আসে পিন্টু। রাতে আমাদের বাড়িতে থেকেও যায়। রবিবার সন্ধ্যায় গলায় মাফলারের ফাঁস জড়ানো অবস্থায় ওঁ র দেহ উদ্ধার হয় দোতলার একটি ঘরে। আমি বাড়িতে ছিলাম না। আমার দুই ভাই ছিল ঘরে।”

সম্রাটের দাবি ইদানিং পারিবারিক কিছু কারণে মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন পিন্টু। যদিও এ সব তত্ত্ব মানতে নারাজ পিন্টুর পরিবার। তাঁদের অভিযোগ কোনও রকম মানসিক অবসাদ ছিল না পিন্টুর। আত্মহত্যাও করেননি তিনি। বরং পরিকল্পনা মাফিক খুন করা হয়েছে তাঁকে।

পিন্টুর মামা মহম্মদ রফিকুল ইসলাম বলেন, “প্রথমে ফোন করে জানানো হয় পিন্টু অসুস্থ। সম্রাটদের বাড়ি গিয়ে দেখা যায়, খাটের উপর শুইয়ে রাখা হয়েছে দেহ। গলায় মাফলারের ফাঁস দেওয়ার কথা বলা হলেও ফাঁসের কোনও দাগ ছিল না। শ্বাসনালির কাছে একটা চিহ্ন রয়েছে বটে। কিন্তু দেখে মনে হয়নি ফাঁস দিয়ে আত্মঘাতী হয়েছে।”

এ দিকে, পিন্টুর পরিবারের অভিযোগ বাবা তৃণমূল নেতা বলে অভিযোগও নিতে চায়নি ভগবানগোলা থানা। স্থানীয় মহম্মদপুর পঞ্চায়েতের প্রধান সিপিএমের কাজি আনারুল ইসলাম বলেন, “থানায় অভিযোগ জানাতে গেলে পুলিশ জানায়, ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পেয়ে তারপরে অভিযোগ জমা দিলেও হবে।”

মুর্শিদাবাদের পুলিশ সুপার সি সুধাকর অবশ্য বলেন, “ওই ঘটনায় অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা দায়ের করে তদন্ত করছে পুলিশ। তবে আত্মহত্যা না খুন তা ময়নাতদন্তের রিপোর্ট এলেই জানা সম্ভব। সেই মত মামলা দায়ের হবে। ময়নাতদন্তের রিপোর্টে খুনের উল্লেখ থাকলে মামলা দায়ের করে করে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করা হবে।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

murder body bhagobangola
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE