Advertisement
E-Paper

বর্ষার মুখে বহরমপুরে ছ’টি নালা সংস্কারের উদ্যোগ

বর্ষার মুখে বহরমপুর শহরে ছ’টি নালা সংস্কারে উদ্যোগী হল মুর্শিদাবাদ জেলা সেচ দফতর। আগামী ১৫ জুন থেকে বড়মুড়ি খাল, ওসমানখালি নালা, এন্ডিকাট বিল, লক্ষ্মীজোলা খাল, বিবিগঞ্জ নালা ও গোবর্ধন নালা সংস্কারের কাজ শুরু করা হবে বলে ঘোষণা হয়েছে। সেচ দফতরের নির্বাহী বাস্তুকার স্বপনকুমার সাহা বলেন, “আগামী ১৫ জুন থেকে ওই নালা সংস্কারের কাজ শুরু হবে।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৯ জুন ২০১৪ ০০:৩৯

বর্ষার মুখে বহরমপুর শহরে ছ’টি নালা সংস্কারে উদ্যোগী হল মুর্শিদাবাদ জেলা সেচ দফতর।

আগামী ১৫ জুন থেকে বড়মুড়ি খাল, ওসমানখালি নালা, এন্ডিকাট বিল, লক্ষ্মীজোলা খাল, বিবিগঞ্জ নালা ও গোবর্ধন নালা সংস্কারের কাজ শুরু করা হবে বলে ঘোষণা হয়েছে। সেচ দফতরের নির্বাহী বাস্তুকার স্বপনকুমার সাহা বলেন, “আগামী ১৫ জুন থেকে ওই নালা সংস্কারের কাজ শুরু হবে। কাজ শুরু ১৫ দিনের মধ্যে অর্থাৎ আগামী ৩০ জুনের মধ্যে ওই কাজ শেষ করা হবে।” খাল সংস্কারে আনুমানিক খরচ ধরা হয়েছে প্রায় ৩০ লক্ষ টাকা।

বহরমপুরের ওসমানখালি হয়ে চাতরা বিলে ও সেখান থেকে এন্ডিকাট বিল হয়ে বিষ্ণুপুর বিল থেকে ভাণ্ডারদহ বিলে গিয়ে পড়ে বৃষ্টি ও ড্রেনের জল। কিন্তু দীর্ঘ দিন ধরে সংস্কার না হওয়ায় নোংরা-আবর্জনা জমে ভার বহনের ক্ষমতা ওই ছ’টি খাল হারিয়ে ফেলেছে। ফলে সামান্য বৃষ্টিতেই পুরসভা এলাকার বিভিন্ন ওয়ার্ডে জল জমে থাকছে এবং তা সরে যেতে দীর্ঘক্ষণ সময়ও লাগছে।

প্রাক-বর্ষার বৃষ্টিতেই শহরের যা হাল হয়, তাতে বর্ষা মরসুমের কথা ভেবে শিহরিত ছিলেন এলাকার বাসিন্দারা। বর্ষার সময়ে বহরমপুর পুরসভার ২৮টি ওয়ার্ডের মধ্যে ১২-১৪টি ওয়ার্ড প্রতি বছর জলমগ্ন হয়। তার মধ্যে ভাগীরথীর পাড় লাগোয়া বস্তি এলাকার অবস্থা সবচেয়ে শোচনীয়। এছাড়াও সৈয়দাবাদা, গোরাবাজার, খাগড়া, কাদাই এলাকার বিভিন্ন রাস্তায় জল দাঁড়িয়ে থাকে।

এই প্রেক্ষিতে দীর্ঘ দিন ধরেই সেচ দফতরের অধীন খালগুলি সংস্কারের দাবি জানিয়ে আসছিল শহর কংগ্রেস। শুক্রবার ওই দাবিতে জেলা সেচ দফতর কার্যালয়ে স্মারকলিপিও জমা দেয় তারা। তারপরই সেচ দফতর থেকে খাল সংস্কারের কথা ঘোষণা করায় খুশি কংগ্রেস নেতৃত্ব। বহরমপুরের পুরপ্রধান নীলরতন আঢ্য বলেন, “দীর্ঘ দিন খাল সংস্কার না হওয়ায় বর্ষার সময়ে পুরসভার বিভিন্ন এলাকা জলমগ্ন হয়। গোটা বিষয়টি জানিয়ে এর আগে সেচ দফতর ও জেলা প্রশাসনকে লিখিত জানিয়েছি। কিন্তু কোনও ফল হয়নি। শেষ পর্যন্ত বর্ষার আগে সেচ দফতর ওই খালগুলি সংস্কারে সিদ্ধান্ত নেওয়ায় উপকৃত হবেন পুরবাসী।”

সেচ দফতরের বক্তব্য একশ্রেণির পুরবাসীর সচেতনতার অভাবেই নালাগুলি নোংরা-আবর্জনায় ভরে গিয়েছে। স্বপনবাবু বলেন, “নোংরা-আবর্জনা ফেলা থেকে পুর-নাগরিকদের বিরত করার জন্য পুর-কর্তৃপক্ষের কাছে অনুরোধ করেছি। তাঁরা বিষয়টি দেখবেন বলে আশ্বাস দিয়েছেন।”

drainage baharampur irrigation maintenance maintenance work
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy