একই পরিবারের তিন মহিলাকে খুনের ঘটনায় চার্জশিট দিল পুলিশ।
ঘটনার দু’মাস তেইশ দিনের মাথায়, শনিবার মুর্শিদাবাদ সিজেএম আদালতে বিচারক অলি বিশ্বাসের এজলাসে চার্জশিট পেশ হয়। পুলিশ মূল অভিযুক্ত ‘জ্যোতিষী’ নিত্যানন্দ দাসের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩০২, ৩৭৯, ৪১১ ও ২৭ ধারায় অভিযোগ এনেছে। ওমর শেখ নামে আর এক ধৃতের বিরুদ্ধে চোরাই জিনিস নিজের কাছে রাখার অভিযোগ আনা হয়েছে। সোমবার মামলাটি আদালতে উঠবে।
৬ জানুয়ারি বহরমপুরের একটি ফ্ল্যাটের তালা ভেঙে বৃদ্ধা প্রভা দাস, তাঁর ভাইঝি মধ্য চল্লিশের বিজয়া বসু ও তাঁর তরুণী কন্যা আত্রেয়ী বসুর দেহ উদ্ধার করে পুলিশ। বিজয়াদেবীর স্বামী দেবাশিস বসুকে সন্দেহের বশে আটক করা হয়। দেবাশিসবাবু নিজেকে নির্দোষ দাবি করে জানান, বহরমপুরেরই এক জ্যোতিষীর কাছে নিজের ও মেয়ের ‘কালসর্পদোষ’ খণ্ডন করাচ্ছিলেন বিজয়াদেবী। এই খুনের ঘটনায় ওই জ্যোতিষীর যোগ থাকতেও পারে। পুলিশের দাবি তদন্তে ‘জ্যোতিষী’ নিত্যানন্দের সঙ্গে হত্যার যোগ মেলে। ১১ জানুয়ারি, শনিবার শিলিগুড়ির একটি হোটেল থেকে নিত্যানন্দ গ্রেফতার হয়। এর পর থেকে জেলেই আছে নিত্যানন্দ।
পুলিশের দাবি, তন্ত্রসাধনার নামে চুরির বাসনায় ওই বাড়িতে ঢুকে মাদক খাইয়ে তিন জনকে সংজ্ঞাহীন করে দিয়েছিল নিত্যনন্দ। চুরি করার সময় তিন জনের জ্ঞান ফিরতে থাকলে, তাঁদের খুন করে সে। চার্জশিটেও সেই মতো নিত্যানন্দের বিরুদ্ধে খুন, মাদক খাওয়ানো, চুরি ও চোরাই জিনিসপত্র রাখার অভিযোগ এনেছে পুলিশ। বহরমপুর থানার আইসি অরুণাভ দাসের দাবি, “অভিযুক্তের বিরুদ্ধে সমস্ত রকমের প্রমাণ জোগাড় করেছি আমরা। তাই ৯০ দিনের আগেই চার্জশিট দেওয়া গিয়েছে। ”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy