মূর্তি প্রতিষ্ঠার পরে। —নিজস্ব চিত্র।
কেউ মাখাচ্ছেন ঘি, কেউ দিচ্ছেন সিঁদুর, আর কেউ বা ঢালছেন দুধ। বাড়ির ভিত খুঁড়তে গিয়ে রবিবার দুপুরে উদ্ধার হওয়া নারায়ণ মুর্তি নিয়ে গোটা মনিগ্রাম এখন আবেগে ভাসছে।
ভাল করে গঙ্গা জলে কাদা-মাটি ধুয়ে মুসলিম পাড়ার পাশেই মাজার লাগোয়া গ্রামে দুর্গা মন্দিরের এক কোণায় রাতারাতি তৈরি হওয়া বেদিতে বসানো হয়েছে কালো পাথরের মূর্তিটি। মাথার উপর টাঙানো হয়েছে সবুজ ত্রিপল। গ্রামেরই পাঁচ পুরোহিত একসঙ্গে বসে মাঝ রাত পর্যন্ত অভিষেক করেছেন বিষ্ণু মূর্তির। ৭৫ বছরের প্রবীণ পুরোহিত চিরকুমার গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, “এই দেবমূর্তি মনিগ্রামের নতুন পরিচিতি দেবে।”
বাস্তবিকই সোমবার সকালে কাগজে মূর্তি উদ্ধারের খবর দেখে দলে-দলে লোক আছড়ে পড়ছে মনিগ্রামে অস্থায়ী বিষ্ণু মন্দিরের সামনে। ফরাক্কার বাঁকাশান্তিপুর থেকে এসেছেন মঙ্গল মণ্ডল। জঙ্গিপুরের দফরপুর থেকে এসেছেন শেখর দাস, নিমতিতা থেকে উদয় গুহ, জোতকমলের বাবুলাল ঘোষ। মূতির্র্ দর্শনের কৌতুহল সামলাতে না পেরে হাজির সাগরদিঘি তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের স্কুলের দুই শিক্ষক স্বদেশ চক্রবর্তী ও তাপস দাস।
এদিনই দুপুরে মনিগ্রামে আসেন জিয়াগঞ্জ থেকে জেলা মিউজিয়ামের কিউরেটর মৌসুমী বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি রাজ্য প্রত্ন দফতরকে রিপোর্ট পাঠাবেন বলে জানিয়েছেন। রাজ্যের প্রত্ন দফতরের উপ-অধিকর্তা অমল রায় বলেন, “মুর্শিদাবাদে কষ্টিপাথরের মুর্তি সে ভাবে এখনও মেলেনি। মনিগ্রামে উদ্ধার হওয়া কালো পাথরের মূর্তিটির অভিনবত্ব রয়েছে। সকলের উচিত গবেষণার স্বার্থে মূর্তিগুলি রাজ্য সংগ্রহালয়ের হাতে তুলে দেওয়া।”
এ দিকে, এ দিন সকালে একসময় খবর রটে যায় মনিগ্রামের কাজেম শেখের ভিত থেকে আরও একটি লক্ষী মূর্তি উদ্ধার হয়েছে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে যান গ্রামবাসী। আসে পুলিশও। শেষ পর্যন্ত দেখা যায় মূর্তি নয়, ফুট খানেকের কালো পাথর উদ্ধার হয়েছে সেখান থেকে। কাজেম শেখ জানান, বাড়ি তৈরির কাজ আপাতত বন্ধ রাখতে বলেছে পুলিশ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy