নারদ কাণ্ডের তদন্তে দ্বিতীয় দফায় লালবাজারে আইপিএস অফিসার সৈয়দ মহম্মদ হোসেন মির্জার সঙ্গে কথা বলেন কলকাতা পুলিশের বিশেষ তদন্তকারী দল।
লালবাজার সূত্রের খবর, বুধবারের মতো বৃহস্পতিবারও গোয়েন্দা বিভাগের একতলায় বিশেষ তদন্তকারী দলের কার্যালয়ে মির্জার সঙ্গে কথা বলেন গোয়েন্দারা। পাঁচ ঘণ্টা কথা হয় তাঁদের। নারদের স্টিং অপারেশনের ভিডিও ফুটেজে মির্জাকে টাকা নিতে দেখা গিয়েছে। স্টিং অপারেশনের সময় তিনি বর্ধমানের পুলিশ সুপার ছিলেন। বর্তমানে তিনি রাজ্য পুলিশের স্পেশ্যাল স্ট্রাইকিং ফোর্স’-এর কম্যান্ডান্ট। এ দিনও তাঁর বয়ান ভিডিও রেকর্ডিং-করা হয়েছে বলে সূত্রের খবর। তদন্তকারীদের দাবি, বুধবারই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল, বৃহস্পতিবার বারোটায় ফের ডেকে পাঠানো হবে মির্জাকে। নির্ধারিত সময়ের এক ঘণ্টা আগেই লালবাজারে হাজির হন মির্জা। নীল বাতি লাগানো সাদা একটি এসইউভি নিয়ে লালবাজারে ঢুকে গোয়েন্দা বিভাগে চলে যান তিনি। লালবাজারের কর্তাদের দাবি, মির্জার কাছে নারদের কণর্ধার ম্যাথু স্যামুয়েল সম্পর্কে জানতে চাওয়া হয়। কী ভাবে ম্যাথুর সঙ্গে তাঁর আলাপ হয়, তা-ও জানতে চাওয়া হয় মির্জার কাছে। কলকাতা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত গোয়েন্দা প্রধান বিশাল গর্গ জানান, প্রয়োজনে আবার ডেকে পাঠানো হতে পারে মির্জাকে।
১৮ জুন কলকাতার মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায়ের স্ত্রী রত্না দেবী নিউ মার্কেট থানায় ষড়যন্ত্রের অভিযোগ দায়ের করেন। কারণ, মেয়রকেও স্টিং অপারেশনের ভিডিও ফুটেজে টাকা নিতে দেখা গিয়েছে। সেই মামলার তদন্তে বুধবার প্রথম মির্জাকে লালবাজারে আসতে বলেন তদন্তকারীরা। লালবাজার থেকে দু’বার ম্যাথুকে ডেকে পাঠানো হয়েছে। কিন্তু ম্যাথু এখনও তদন্তকারীদের সামনে হাজির হননি। তিনি হাজির না হওয়ায় তাঁর বিরুদ্ধে আদালতের দ্বারস্থ হওয়ার কথা ভাবছেন গোয়েন্দারা।
এ দিন সংবাদমাধ্যমের প্রতিনিধিদের এড়িয়ে গাড়িতে ওঠেন মির্জা। তাঁর সঙ্গে ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা হয়। কিন্তু তিনি ফোন ধরেননি। তাঁকে এসএমএস করা হলেও তার জবাব দেননি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy