Advertisement
১১ মে ২০২৪
Bankim Chandra Chattopadhyay

বন্দেমাতরম ভবন ‘বেহাল’! মোদীর খেদে প্রশ্ন

চুঁচুড়ার তৃণমূল বিধায়ক অসিত মজুমদার জানান, স্থানীয় হুগলি-চুঁচুড়া পুরসভা ওই ভবনের রক্ষণাবেক্ষণ করে।

চুঁচুড়ার জোড়াঘাটে বন্দেমাতরম ভবন।

চুঁচুড়ার জোড়াঘাটে বন্দেমাতরম ভবন। ছবি: তাপস ঘোষ

নিজস্ব সংবাদদাতা
সাহাগঞ্জ শেষ আপডেট: ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২১ ০৬:১৮
Share: Save:

যে ভবনে বসে বঙ্কিমচন্দ্র ‘বন্দেমাতরম’ লিখেছিলেন, তার হাল নিয়ে ক্ষোভের কথা শোনালেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।

চুঁচুড়ার জোড়াঘাটে ওই ভবনের কয়েক কিলোমিটার দূরে সাহাগঞ্জে বন্ধ ডানলপ কারখানার মাঠে সোমবার বিকেলে সভা করেন মোদী। তাঁর অভিযোগ, বর্তমান রাজ্য সরকার বাংলার মাটির সঙ্গে সম্পর্কিত মনীষীদের স্মৃতিরক্ষার্থে কিছুই করেনি। সেই প্রসঙ্গেই বন্দেমাতরম ভবনের কথা তোলেন। বলেন, তিনি শুনেছেন, বন্দেমাতরম ভবন, যেখানে বঙ্কিমচন্দ্র পাঁচ বছর ছিলেন, সেই ভবন খুব খারাপ অবস্থায় আছে। মোদীর কথায়, ‘‘সেই বন্দেমাতরম, যা স্বাধীনতার লড়াইতে নতুন প্রাণের সঞ্চার করেছিল। স্বাধীনতা সংগ্রামীদের নতুন শক্তি জুগিয়েছিল। মাতৃভূমিকে সুজলা, সুফলা করতে প্রত্যেক দেশবাসীকে প্রেরণা জুগিয়েছিল। বন্দেমাতরম শব্দ গোলামির নিরাশায় বেঁচে থাকা দেশকে নতুন চেতনা এনে দিয়েছিল।’’

রাজনৈতিক মহলের একাংশের মতে, এ ক্ষেত্রেও মোদীর লক্ষ্য তৃণমূল পরিচালিত সরকার। তবে মোদীর এই বক্তব্য নিয়ে তৃণমূল নেতৃত্ব কড়া প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন। তাঁদের দাবি, বন্দেমাতরম ভবন এক সময়ে সত্যি সত্যিই অনাদরে পড়েছিল। বর্তমান সরকার ভবনটি নতুন করে সাজিয়েছে। চুঁচুড়ার তৃণমূল বিধায়ক অসিত মজুমদার জানান, স্থানীয় হুগলি-চুঁচুড়া পুরসভা ওই ভবনের রক্ষণাবেক্ষণ করে। এ জন্য তিন জন কেয়ারটেকার রাখা হয়েছে পুরসভার তরফে। তাঁরা তিনটি শিফটে ভবনে থাকেন। ‘হুগলি-চুঁচুড়া আর্ট ফোরাম’কে ভবনের একটি ঘর ব্যবহার করতে দেওয়া হয়েছে। এখানে তারা সংস্কৃতি চর্চা করে।

মোদীকে একহাত নিয়ে বিধায়ক বলেন, ‘‘দেশের প্রধানমন্ত্রীর তো জেনেবুঝে বলা উচিত। উনি নিজের বুদ্ধিতে বলেন না। ওঁকে যাঁরা বুদ্ধি দিচ্ছেন, তাঁরা অপদার্থের দল।’’ অসিতের কটাক্ষ, ‘‘এত কাছে যখন এলেন, এক বার ঘুরে যেতে পারলেন না!’’ স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশেরও বক্তব্য, ওই ভবনের অবস্থা আগের থেকে অনেকটা ভাল। তবে, সংলগ্ন পার্কের রক্ষণাবেক্ষণ আরও ভাল করার দাবি রয়েছে।

আঞ্চলিক ইতিহাস নিয়ে যাঁরা চর্চা করেন, তাঁরা জানান, ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে হুগলিতে কর্মরত থাকাকালীন পাঁচ বছর বঙ্কিমচন্দ্র এই বাড়িতে দু’টি ঘর ভাড়া নিয়ে থাকতেন। এই ভবন বন্দেমাতরম সঙ্গীতের সূতিকাগৃহ। সেই সময় বহু সাহিত্যিক তথা মনীষী এই বাড়িতে এসেছেন।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Narendra Modi Bankim Chandra Chattopadhyay
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE