বুথ লেভেল অফিসারদের (বিএলও) নিয়োগ নিয়ে কড়া বার্তা দিয়েই সফর শুরুর ইঙ্গিত দিল জাতীয় নির্বাচন কমিশন। মঙ্গলবার রাতেই শহরে এসেছেন উপ নির্বাচন কমিশনার জ্ঞানেশ ভারতী, কমিশনের তথ্যপ্রযুক্তি শাখার ডিরেক্টর জেনারেল সীমা খান্না, কমিশনের সচিব এস বি যোশী এবং উপ-সচিব অভিনব আগরওয়াল। আজ, বুধবার এবং আগামিকাল, বৃহস্পতিবার নির্ধারিত বৈঠকের পরে পৃথক ভাবে তিন জেলার বিএলওদের নিয়ে বৈঠকের সিদ্ধান্ত হয়েছে।
মঙ্গলবারই রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক (সিইও) মনোজ আগরওয়ালের মাধ্যমে কমিশন সব জেলাশাসক এবং ইলেক্টোরাল রেজিস্ট্রেশন অফিসারদের (ইআরও) উদ্দেশে বার্তা দিয়েছে—অবসরপ্রাপ্ত বা আগামী বছরের ৩১ মে অবসর নেবেন, এমন কোনও ব্যক্তি বিএলও নন, তা নিশ্চিত করতে হবে। পরে যদি দেখা যায়, বেসরকারি বা চুক্তিভিত্তিক কর্মীরাও বিএলও হিসেবে কর্মরত রয়েছেন, তখন কমিশন দৃষ্টান্তমূলক পদক্ষেপ করবে।
আজ, বুধবার সিইও-কে সঙ্গে নিয়ে ভার্চুয়াল মাধ্যমে দক্ষিণবঙ্গের সব জেলাশাসক, অতিরিক্ত জেলাশাসক (এডিএম-নির্বাচন), ওসি (নির্বাচন), এসডিও, ইআরও এবং এনআইসি-প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক হবে। পরে রাজারহাট-নিউটাউন এবং রাজারহাট-গোপালপুর বিধানসভা কেন্দ্রের বিএলও-সহ অন্য আধিকারিকদের নিয়ে হবে পৃথক বৈঠক। বিকেলে উত্তর ২৪ পরগনার জেলাশাসক-সহ বাকি কর্তা-আধিকারিকদের নিয়ে বৈঠক হবে। আগামিকাল, বৃহস্পতিবার পূর্ব মেদিনীপুর, বাঁকুড়া এবং ঝাড়গ্রাম জেলা প্রশাসনের সঙ্গে বৈঠক করবে কমিশন।
বাঁকুড়ার ২০০, পূর্ব মেদিনীপুর এবং ঝাড়গ্রামের ১৫০টি করে মোট ৫০০টি বুথের বিএলও-দের নিয়ে পৃথক বৈঠক করবেন কমিশন-কর্তারা। কারণ, ভোটার তালিকার ম্যাপিংয়ে এই বুথগুলিতেই ভোটারদের মিল পাওয়া গিয়েছে তুলনায় কম। সেখানে বাড়ি বাড়ি গিয়ে নিবিড় ভাবে কী করে নিখুঁত যাচাই করতে হবে, সেই বার্তা দেবে কমিশন।
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)