Advertisement
E-Paper

বাঘ বাঁচাতে কী করছে রাজ্য, জানতে চায় কোর্ট

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৩ মে ২০১৮ ১০:৩৮
ফাইল চিত্র।

ফাইল চিত্র।

সুন্দরবনের দূষণ নিয়ে আগে বারবার রাজ্যকে তিরস্কার করেছে জাতীয় পরিবেশ আদালত। এ বার সুন্দরবনের বাঘ সংরক্ষণে রাজ্যের কাজকর্মের রূপরেখা কী, তা জানতে চাইল বিচারপতি সোনম ফিন্তসো ওয়াংদি এবং বিশেষজ্ঞ-সদস্য নাগিন নন্দার ডিভিশন বেঞ্চ।

এর আগে উত্তরবঙ্গের দূষণ মামলায় বক্সায় বাঘ সংরক্ষণের রূপরেখা বা অ্যাকশন প্ল্যান জানাতে বলা হয়েছিল। তা পরিবেশ আদালতে জমাও পড়েছে। সুন্দরবনের বাঘ নিয়ে রাজ্যের পরিকল্পনা জানানোর জন্য বুধবার নির্দেশ দিয়েছে ওই আদালত।

এ রাজ্যের বাঘের আবাস বলতে উত্তরের বক্সা আর দক্ষিণের সুন্দরবন। যদিও বক্সায় ক’টি বাঘ আছে। তা নিয়ে বন্যপ্রাণপ্রেমীদের অনেকেই ঘোর সন্দিহান। সে-ক্ষেত্রে সুন্দরবনের বাঘই বাংলার সবেধন নীলমণি। দূষণের দাপটে যে-ভাবে বন্যপ্রাণের ক্ষতি হচ্ছে, তাতে সুন্দরবনের বাঘ নিয়ে জাতীয় আদালত রিপোর্ট তলব করায় খুশি পরিবেশকর্মী ও বন্যপ্রাণপ্রেমীদের অনেকেই।

পরিবেশকর্মীদের একাংশের মতে, সম্প্রতি লালগড়ে যে-ভাবে বাঘ মারা হয়েছে এবং তার পরেও বন দফতর কার্যত চুপ করে রয়েছে, তাতে রাজ্যে বাঘ সংরক্ষণের সদিচ্ছা নিয়ে প্রশ্ন উঠতেই পারে। সে-ক্ষেত্রে আদালতের নজরদারি থাকলে বন দফতর তুলনায় বেশি সক্রিয় হবে। সুন্দরবনের দূষণ নিয়ে স্বতঃপ্রণোদিত ভাবে মামলা রুজু করেছিল পরিবেশ আদালত।

বন দফতরের একাংশ বলছে, আদালতের নির্দেশ মেনে রিপোর্ট দেওয়া হবে। সুন্দরবনের ক্ষেত্রে নানা ধরনের দূষণের সমস্যা থাকলেও যথাযথ গুরুত্ব দিয়েই বাঘ সংরক্ষণের রূপরেখা তৈরি করা হয়েছে। কারণ, সুন্দরবন ইউনেস্কো ‘ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ’ তকমা পেয়েছে। তার উপরে পৃথিবীতে শুধু সুন্দরবনেই বাদাবনের বাঘ দেখতে পাওয়া যায়। তাই সুন্দরবনের উপরে কেন্দ্র এবং আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলিও নজর রাখে।

সুন্দরবনের ক্ষেত্রে বিভিন্ন জলযানের গতিবিধি নিয়েও প্রশ্ন উঠেছিল। সেগুলি কতটা দূষণ ছড়ায়, তা দেখতে বলা হয়েছিল রাজ্য দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদকে। এ দিন পর্ষদের আইনজীবী অর্পিতা চৌধুরী জলযান সম্পর্কে পরিদর্শন রিপোর্ট পেশ করেছেন। তাতে পরিদর্শনের পাশাপাশি জলযানগুলিকে কয়েক দফা পরামর্শ দেওয়ার কথাও বলা হয়েছে।

গদখালিতে প্রস্তাবিত টুরিস্ট লজের বদলে লবণাক্ত জল পরিশোধন কেন্দ্র গড়ার কথা জানিয়েছিল রাজ্য। তার পরিকল্পনায় জানানো হয়েছে, সেখানে ভূগর্ভস্থ জল শোধন করা হবে। এই নিয়ে পরিবেশকর্মী সুভাষ দত্ত আদালতে প্রশ্ন তোলেন, ভূগর্ভস্থ জল কী ভাবে লবণাক্ত হবে? রাজ্যের কৌঁসুলি এর উত্তর দিতে পারেননি। তাঁকে এ বিষয়ে হলফনামা দিতে বলা হয়েছে।

National Green Tribunal Tiger বাঘ
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy