উদ্ধারকাজ চালাচ্ছে জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী নিজস্ব চিত্র।
রেললাইনের পাশে উল্টে পড়ে রয়েছে পর পর কয়েকটি কামরা। দু’জায়গায় একটি কামরা উপর আর একটি কামরা উঠে গিয়ে একেবারে দুমড়েমুচড়ে গিয়েছে। জানা গিয়েছে, দুর্ঘটনায় ন’টি বগি লাইনচ্যুত হয়েছে। যুদ্ধকালীন তৎপরতায় উদ্ধারকাজ চালাচ্ছে জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী, আধাসেনা, বিএসএফ, সশস্ত্র সীমা বল এবং রেলপুলিশ। প্রতিটি কামরায় চিরুণি তল্লাশি চালানো হচ্ছে কোথাও কোনও যাত্রী আটকে আছেন কি না। একই সঙ্গে দুমড়ে যাওয়া কামরাগুলি গ্যাসকাটার দিয়ে কেটে উদ্ধারকাজ চালানো হচ্ছে। ঘটনাস্থলে রয়েছেন রেলের উচ্চপদস্থ কর্তারা। এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত জানা গিয়েছে, ময়নাগুড়ির এই রেল দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে ৮ জনের।
জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী, আধাসেনা, বিএসএফের পাশাপাশি বহু স্বেচ্ছাসেবী সংস্থাও উদ্ধারকাজে হাত লাগিয়েছে। পার্শ্ববর্তী চা বাগনগুলি থেকেও সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। ব্যবস্থা করা হয়েছে খাবার, অ্যাম্বুল্যান্সের। রাত দশটা নাগাদ নিউ জলপাইগুড়ি নিউ থেকে বঙ্গাইগাঁওগামী একটি ট্রেন দোমোহনিতে থামানো হয়। দুর্ঘটনাগ্রস্ত ট্রেনটির অনেক যাত্রী ওই ট্রেনটিতে ওঠেন। এর পর বঙ্গাইগাঁওগামী ওই ট্রেনটি গন্তব্যের উদ্দেশে রওনা দেয়। উদ্ধারকাজ সম্পূর্ণ হওয়ার পর রিলিফ ট্রেন আসবে বলে রেলের তরফে জানা গিয়েছে।
ট্রেনের কামরাগুলি উল্টে যাওয়ায় রেললাইনের পরিস্থিতিও খারাপ। কোথাও রেললাইন বেঁকে গিয়েছে। ভেঙে গিয়েছে। কোথাও ফিসপ্লেট উড়ে গিয়েছে। এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ রেললাইন। কিন্তু এখন যা পরিস্থিতি তাতে রেললাইন কবে ঠিক হবে তা নিয়ে সংশয় দেখা দিয়েছে। শুক্রবার ঘটনাস্থলে এবং জলপাইগুড়ি হাসপাতালে আসতে পারেন রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব।
বৃহস্পতিবার বিকেল পাঁচটা নাগাদ গুয়াহাটিগামী বিকানের-গুয়াহাটি এক্সপ্রেস লাইনচ্যুত হয় জলপাইগুড়ি জেলার ময়নাগুড়ির দোমোহনির কাছে। এই ঘটনায় মৃত ৮। আহত শতাধিক।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy