Advertisement
E-Paper

বজ্রপাতের আভাস দেবে অ্যাপ দামিনী

ঠিক কোথায় বাজ পড়বে, তা নিশ্চিত করে বলা যাবে না। তবে ঝড়বৃষ্টির মতো এ বার বজ্রপাতের পূর্বাভাসও পাওয়া যেতে পারে।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৯ মার্চ ২০১৯ ০৪:৪২
‘দামিনী’ অ্যাপের মাধ্যমে এভাবেই আগম সতর্কবার্তা পাওয়া যাবে।

‘দামিনী’ অ্যাপের মাধ্যমে এভাবেই আগম সতর্কবার্তা পাওয়া যাবে।

ঠিক কোথায় বাজ পড়বে, তা নিশ্চিত করে বলা যাবে না। তবে ঝড়বৃষ্টির মতো এ বার বজ্রপাতের পূর্বাভাসও পাওয়া যেতে পারে। প্রাথমিক ভাবে এই প্রকল্প শুরু করেছে কেন্দ্রীয় ভূবিজ্ঞান মন্ত্রক। কেন্দ্রীয় প্রতিষ্ঠান ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অব ট্রপিক্যাল মেটিরিয়োলজি (আইআইটিএম) এবং আর্থ সায়েন্স সিস্টেম অর্গানাইজেশন (এসো)-এর বাজ চিহ্নিতকরণ সেন্সর বসানো হয়েছে আলিপুর আবহাওয়া দফতরে। রামপুরহাট, দার্জিলিঙেও এই সেন্সর বসানো হয়েছে।

কেন্দ্রীয় আবহাওয়া দফতরের ডেপুটি ডিরেক্টর জেনারেল (পূর্বাঞ্চল) সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায় শুক্রবার জানান, ‘দামিনী’ নামে একটি অ্যাপ চালু হয়েছে। তা মিলছে ‘গুগল প্লে’ থেকে। আমজনতা ওই অ্যাপের মাধ্যমে বজ্রপাত সম্পর্কে সতর্কবার্তা পেতে পারেন। ঠিক কোথায় বাজ পড়বে, ওই অ্যাপ সেটা নির্দিষ্ট করে বলতে পারবে না। যেখানে সেন্সর রয়েছে, তার ২০-৪০ কিলোমিটারের মধ্যে বজ্রগর্ভ মেঘ এবং তার মধ্যে বিদ্যুৎ সঞ্চার হচ্ছে কি না, সেটাই বলবে সেন্সর। ‘‘যত বার বিদ্যুৎ চমকায়, প্রতি বারেই বাজ হয়ে তা মাটিতে আছড়ে পড়ে না। কোন এলাকায় বজ্রপাতের আশঙ্কা রয়েছে, সেটা বলা যেতে পারে। ঝড়বৃষ্টির পূর্বাভাস দিতেও এই সেন্সর কাজে লাগবে,’’ বলছেন সঞ্জীববাবু।

আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, কালবৈশাখীর পূর্বাভাস আগের থেকে এখন অনেক দ্রুত দেওয়া হচ্ছে। এ বার থেকে ঝড়ের গতিবেগ ঘণ্টায় ৬২ কিলোমিটারের বেশি হবে আঁচ করতে পারলে সম্ভাব্য ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কাও জানানো হবে। আলিপুর আবহাওয়া দফতরের ধারণা, মার্চ, এপ্রিল, মে-তে গড় তাপমাত্রা স্বাভাবিক থাকবে। হাওয়া অফিসের একটি সূত্রের মতে, বঙ্গোপসাগরের উপরে বায়ুমণ্ডলের পরিস্থিতি যা, তাতে চলতি মার্চে মারাত্মক গরম পড়বে না বলেই মনে হচ্ছে। সে-ক্ষেত্রে এপ্রিল-মে মাসে বাড়তি গরমের মুখে পড়তে হতে পারে। কেন্দ্রীয় আবহাওয়া দফতরের অন্যতম কর্তা সঞ্জীববাবুর ব্যাখ্যা, গড় তাপমাত্রা মোটের উপরে স্বাভাবিক থাকার মানে এই নয় যে, গরম কম হবে। কয়েক দিন সর্বোচ্চ তাপমাত্রা হয়তো স্বাভাবিকের থেকে কম থাকবে। আবার কয়েক দিন তাপপ্রবাহ চলতে পারে।

গত কয়েক বছরের পর্যবেক্ষণের ভিত্তিতে আবহবিজ্ঞানীদের অনেকে মনে করছেন, গ্রীষ্ম দীর্ঘায়িত হতে পারে জুন পর্যন্ত। তাই প্রাথমিক ভাবে মে পর্যন্ত গরমের কথা জানানো হলেও পরবর্তী কালে তা জুনের হিসেবও এই আওতায় আসতে পারে। এ বার মার্চের গোড়ায় শীত-শীত ভাব অনুভূত হয়েছে। সঞ্জীববাবু এ দিন বলেন, ‘‘আরও কয়েক দিন গভীর রাতে এবং ভোরে হাল্কা ঠান্ডা মালুম হতে পারে। তবে রাতের তাপমাত্রা এ বার ক্রমশ বাড়তেই থাকবে।’’

App Tech IITM Indian Institute of Tropical Meteorology Damini Lightning
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy