জোড়া পাম্প স্টোরেজ বিদ্যুৎ প্রকল্প পেতে চলেছে পুরুলিয়া। পরিকল্পনার পাঁচ বছর পরে, অবশেষে আজ, সোমবার তুর্গা পাম্প স্টোরেজ বিদ্যুৎ প্রকল্পের প্রস্তাব রাজ্য মন্ত্রিসভার বৈঠকে পেশ হতে চলেছে। অনুমোদন পেলে এটি হবে পুরুলিয়া ও রাজ্যের দ্বিতীয় পাম্প স্টোরেজ প্রকল্প।
৪৮০০ কোটি টাকার এই প্রকল্পে ৭০০ কোটি দেবে রাজ্য। বাকি ৪১০০ কোটি টাকা ‘জাইকা’ (জাপান ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন এজেন্সি)-র কাছ থেকে ঋণ নেওয়া হবে। মন্ত্রিসভা ছাড়পত্র দেওয়ার পরে এই প্রকল্পে জাইকা-র ঋণের জন্য কেন্দ্রীয় অর্থ মন্ত্রকের কাছে আবেদন জানানো হবে। কেন্দ্র সবুজ সঙ্কেত দিলে জাইকা-র প্রতিনিধিরা রাজ্যে এসে প্রকল্পের সরেজমিন মূল্যায়ন করবেন। ঋণ মঞ্জুরের বিষয়টি নির্ভর কছে তাঁদের রিপোর্টের উপরেই।
এক বিদ্যুৎকর্তার দাবি, তুর্গার সবিস্তার প্রকল্প রিপোর্ট তৈরি হয়ে গিয়েছে। ঋণ পেলেই কাজ শুরু হবে। তুর্গা পাম্প স্টোরেজের উৎপাদন ক্ষমতা হবে ১০০০ মেগাওয়াট। বাম আমলে পুরুলিয়ার অযোধ্যা পাহাড়ে ৯০০ মেগাওয়াটের প্রথম পাম্প স্টোরেজ গড়ে ওঠে। যেটি পুরুলিয়া পাম্প স্টোরেজ বিদ্যুৎ প্রকল্প নামেই পরিচিত। তুর্গা বিদ্যুৎ প্রকল্পটিও গড়ে উঠবে অযোধ্যা পাহাড়ে। আগেকার প্রকল্পটির ঠিক পাশেই। ২০১১ সালে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার ক্ষমতায় আসার পরে পরের বছর তুর্গায় প্রকল্প তৈরির পরিকল্পনা করে।
রাজ্যের বিদ্যুৎকর্তারা জানাচ্ছেন, এই প্রকল্পের নির্মাণকাজ শেষ হয়ে গেলে ২০৩০ সাল পর্যন্ত পশ্চিমবঙ্গে নতুন করে কোনও পাম্প স্টোরেজ বিদ্যুৎ প্রকল্প গড়ার প্রয়োজন হবে না। বাড়বে রাজ্যের গ্রিডে জলবিদ্যুতের পরিমাণও। পুরুলিয়া পাম্প স্টোরেজ প্রকল্পের মতো তুর্গাতেও অযোধ্যা পাহাড়ের বুকে উপরে ও নীচে দু’টি জলাধার তৈরি করা হবে। দিনের বেলায় যখন বিদ্যুতের চাহিদা বাড়বে, তখন উপরের জলাধার থেকে নীচের জলাধারে জল ফেলে টার্বাইনের সাহায্যে বিদ্যুৎ উৎপাদন করা হবে।
প্রাথমিক পরিকল্পনায় তুর্গা প্রকল্পের সঙ্গে ১০০০ মেগাওয়াটের সৌর বিদ্যুৎ প্রকল্প তৈরির কথা ছিল। আপাতত তা স্থগিত রাখা হচ্ছে। কারণ, কেন্দ্রের নীতি আয়োগ কমিটি এই প্রকল্পের জন্য অর্থ মঞ্জুর করেনি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy