খাগড়াগড় বিস্ফোরণ মামলার চার্জ গঠন করল জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা (এনআইএ)। শনিবার কলকাতা নগর দায়রা আদালতের বিচারক জানিয়েছেন, মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হবে অগস্টে। বাংলাদেশের গুলশন ও কিশোরগঞ্জের হামলায় আইএস দায় স্বীকার করলেও আসলে এর পিছনে জামাতুল মুজাহিদিন বাংলাদেশ (জেএমবি) আছে বলে দাবি করে আসছে সে দেশের সরকার। আর ২০১৪-র ২ অক্টোবর খাগড়াগড়ে বিস্ফোরণের সূত্রে ভারতে এই জামাতুল গোষ্ঠীরই বিশাল নেটওয়ার্কের হদিস মেলে। এ দিন খাগড়াগড় মামলায় জামাতুলের চাঁই ও সদস্য মিলিয়ে ৩০ জনের বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করা হয়েছে। ১০ জনকে ফেরার দেখানো হয়েছে চার্জশিটে। এনআইএ-র আইনজীবী শ্যামল ঘোষ এ দিন জানান, যাদের বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করা হয়েছে, তাদের ছ’জন বাংলাদেশি। ওই ছ’জনের মধ্যে সাজিদ ও তরিকুলকে গ্রেফতার করা গেলেও কওসর, নাসিরুল্লা, তালহা শেখ ওরফে শ্যামল ও সইদুর নামের চার সন্দেহভাজন এখনও পলাতক। এদের মধ্যে গুলশন-সহ আরও কয়েকটি হামলায় কওসরের যোগ খুঁজে পেয়েছেন গোয়েন্দাদের একাংশ। বর্ধমান জেলা পুলিশের যে অফিসার বিস্ফোরণের লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছিলেন, ১৯ ও ২০ অগস্ট আদালতে তাঁর সাক্ষ্য নেওয়া হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy