কলকাতার বন্দর এলাকার একটি দোকান ছাড়া আর কোথায় পাকিস্তানের গুপ্তচরেদের আনাগোনার প্রমাণ মিলেছে, তা জানতে সক্রিয় এনআইএ।
শহরের একটি দোকানে বিভিন্ন অ্যাকাউন্টে টাকা লেনদেনের কারবার চলে। পাকিস্তানের কারও সঙ্গে টাকা লেনদেনে পাক চর চক্রের কয়েক জন ওই দোকানটিকে ব্যবহার করেছিল বলে এনআইএ-র গোয়েন্দারা জানতে পেরেছেন। ওই টাকা লেনদেনের সূত্রে পাক চরচক্রের সঙ্গে জড়িতদের চিহ্নিত করতে বেশ ক’জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন এনআইএ-র গোয়েন্দারা।
বন্দর এলাকার একটি দোকানের মালিককেও জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। দোকানটিতে শনিবার তল্লাশির পরে সোমবারও দীর্ঘক্ষণ ওই দোকানদারের সঙ্গে কথা বলেন এনআইএ-র তদন্তকারীরা। চরবৃত্তির অভিযোগে ইতিমধ্যে সিআরপিএফের জওয়ান মোতিরাম এবং আরও কয়েক জনকে সম্প্রতি গ্রেফতার করা হয়েছে। তাঁদের মোবাইল ফোন এবং সমাজমাধ্যমের অ্যাকাউন্টের সূত্র কাজে লাগাচ্ছেন তদন্তকারীরা। প্রাথমিক তদন্তের পর গোয়েন্দাদের অনুমান, কলকাতায় ওই ধৃতদের ভালই যোগাযোগ ছিল।
তদন্তে এ-ও জানা যায়, বন্দর এলাকার একটি দোকান থেকে তিন দফায় যে কয়েক হাজার টাকা লেনদেন হয়েছে, তার সঙ্গে পাকিস্তানের যোগ রয়েছে। সেখানে অভিযান চালান গোয়েন্দারা। তপসিয়া এলাকার একটি হোটেলের নিরাপত্তারক্ষীকেও জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। সূত্রের দাবি, কলকাতা থেকে কিছু সন্দেহজনক আর্থিক লেনদেনের হদিস মিলেছে গত কয়েক মাসে। তার আগেও কি়ছু লেনদেন হয়ে থাকতে পারে বলে দাবি। তবে তার প্রমাণ মোবাইল ফোন থেকে মুছে ফেলা হতে পারে বলে মনে করছেন তদন্তকারীরা। বাজেয়াপ্ত হওয়া মোবাইল ফোনগুলি ফরেন্সিক পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে।
এক সন্দেহভাজন যুবক সম্ভবত গুপ্তচরদের মোবাইলের সিম-সহ নানা সামগ্রী দিয়ে সাহায্য করেছেন বলে এনআইএ সূত্রের খবর। কয়েক বছর আগে এ রাজ্যের এক যুবক গুপ্তচর বৃত্তির অভিযোগে পুলিশের হাতে গ্রেফতার হয়। তার সঙ্গে ওই সন্দেহভাজনের যোগাযোগ রয়েছে কি না, তা দেখা হচ্ছে।
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)